মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় রোড ডিভাইডারে ধাক্কা দিয়ে একটি বাস উল্টে গেছে। এতে বাসের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১০ জন।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাখির মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম স্বাধীন হোসেন সুমন।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রিফাত মল্লিক বলেন, ‘‘চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি বাস পাখির মোড় এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রুট ডিভাইডারে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায়। এতে বাসের এক যাত্রী নিহত ও ১০ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

মনিরামপুরে ভ্যানে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২ 

পীরগঞ্জে ২ মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.

আশরাফুল আলম শুভ বলেন, ‘‘আহতদের মধ্যে গুরুতর ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’

গজারিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। তবে, বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।’’

ঢাকা/রতন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি মাসের ১৫ দিনে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু

দেশে আজ রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তি একজন পুরুষ। তাঁর বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ঢাকায় সরকারি একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি মাসে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে দেশে ৫ জুন একজন ও ১৩ জুন ২ জনের মৃত্যু হয়। শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০৩।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৯১ জনের কাছ থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৬টি নমুনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩।

একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন চারজন। তাঁদের নিয়ে এ পর্যন্ত করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪১০-এ দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুনসরকারি হিসাবের চেয়ে করোনায় মৃত্যু ছিল বেশি ১০ ঘণ্টা আগে

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। করোনায় প্রথম মৃত্যুর কথা জানা যায় ওই বছরের ১৮ মার্চ। এর তিন বছর পর ২০২৩ সালের মে মাসে করোনার কারণে জারি করা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন জেএন.১-এ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। দ্রুত ছড়ানোর কারণে জেএন.১-কে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর একই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কথা বলছেন। এর নাম এক্সএফজি। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটিই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভেরিয়েন্টের উপধরন।

আরও পড়ুনকরোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ দফা নির্দেশনা১১ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ