যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিটন ডিসির রোনাল্ড রেগান জাতীয় বিমানবন্দরের কাছে মাঝ আকাশে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের সঙ্গে দেশটির একটি সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দ্বিখণ্ডিত ওই বিমান এবং হেলিকপ্টারটি বিমানবন্দরের পাশের পোটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়েছে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনো জীবিত ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে

স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

আরো পড়ুন:

৮ মাসের বেতন নিয়ে ফেডারেল কর্মীদেরকে পদত্যাগের প্রস্তাব ট্রাম্পের

ট্রাম্পের ফেডারেল অনুদান ও ঋণ বন্ধের আদেশ আটকে গেল আদালতে

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়েছে বিবিসি বলছে, মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সঙ্গে এই সংঘর্ষ হয়েছে। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটিতে ৬০ জন যাত্রী এবং চারজন কেবিন ক্রু ছিলেন। ব্ল্যাক হক সামরিক হেলিকপ্টারটিতে তিনজন মার্কিন সেনা ছিলেন।

ওয়াশিংটন ডিসি পুলিশ জানিয়েছে, পোটোমাক নদীতে বিমান দুর্ঘটনার পর একাধিক সংস্থা যৌথভাবে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। এই দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আপাতত সকল উড্ডয়ন এবং অবতরণ বন্ধ রেখেছে।

দুর্ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে তাকে অবিহিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ভয়াবহ’ ওই বিমান দুর্ঘটনা সম্পর্কে আমাকে অবহিত করা হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই জরুরি ভত্তিতে কাজ করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

ওয়াশিংটনের মেয়র মুরিয়েল বাউসারসহ সরকারি কর্মকর্তারা দুর্ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় সময় রাত ১২:৩০ টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করবেন বলে জানা গেছে

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ