পুঁজিবাজারের ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এসিআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম. আনিস উদ দৌলা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, এসিআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম. আনিস উদ দৌলা সাধারণ মার্কেটের বদলে ব্লক মার্কেট থেকে ১৬ লাখ শেয়ার কিনেছেন।

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি তিনি উল্লিখিত পরিমাণ শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণার পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পুঁজিবাজার থেকে তিনি শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করেছেন।

আনিস উদ দৌলা একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এসিআই লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ সিড এসোসিয়েশন (বিএসএ) এর সভাপতি।

এসিআই লিমিটেডের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৭৬ সালে। ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন 8৭ কোটি ৬৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৮ কোটি ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬৯টি। এর মধ্যে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৩৬.

২৩ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪১.৬৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২২.১১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ