Risingbd:
2025-05-01@05:15:06 GMT

১৬ বছর পর ঘরে ফিরলেন ইউছুফ

Published: 30th, January 2025 GMT

১৬ বছর পর ঘরে ফিরলেন ইউছুফ

দীর্ঘ ১৬ বছরের বন্দিজীবন শেষে মাতৃকোলে ফিরলেন পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলায় কারাবন্দি সাবেক বিডিআর সদস্য মোহাম্মদ ইউছুফ। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে আনন্দাশ্রু ঝরালেন মা রানু বেগম। 

২০০৮ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে বিডিআর-এ যোগ দেওয়া ইউছুফ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর গণগ্রেপ্তারের শিকার হন। ২০১৩ সালে হত্যা মামলায় খালাস পেলেও বিস্ফোরক মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর কারাগারে কাটাতে হয় তাকে। অবশেষে ২৩ জানুয়ারি মুক্তি পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ২৬ জানুয়ারি উখিয়ার নিজ বাড়িতে ফেরেন। 

এদিকে কারামুক্ত ইউছুফকে সংবর্ধনা দিয়ে বরণ করে নেয় এলাকাবাসী। তাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন ‘এক্স বিডিআর কক্সবাজার ২০০৯’-এর নেতারা। 

এ সময় মা রানু বেগম বলেন, ‘‘সন্তানকে ফিরে পেয়েছি, এর চেয়ে বড় আনন্দ আর কিছুই নেই। গত ১৬ বছর যে কষ্টে কেটেছে, তা কাউকে বুঝানো যাবে না।” 

ইউছুফের ছোট ভাই আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, ‘‘আমার ভাইয় জেলে থাকার সময় আমাদের পরিবার চরম কষ্টে ছিল। এখন তাকে ফিরে পেয়ে ভাষায় প্রকাশ করার মতো আনন্দ নেই।’’ 

মুক্তি পাওয়ার পর ইউছুফ বলেন, ‘‘আমি নিরপরাধ ছিলাম, তবু ১৬ বছর কারাগারে কাটিয়েছি। চাই না আর কোনো নির্দোষ বিডিআর সদস্য এমন শাস্তি ভোগ করুক।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘বিডিআর-এ যোগ দিয়েছিলাম পরিবারকে সহায়তা করতে, কিন্তু উল্টো আমার পরিবারই কষ্ট করেছে। সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো, বাবা-মাকে জীবিত পেয়েছি।’’ 

‘এক্স বিডিআর কক্সবাজার ২০০৯’-এর সভাপতি হাবিলদার মো.

একরাম উল হুদা বলেন, ‘‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডে কক্সবাজারের ৫৭ জন বিডিআর সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ইউছুফ একজন। সরকারকে অনুরোধ জানাই, ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যদের সহায়তা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক।’’ 

ইউছুফের ছোট ভাই বলেন, ‘‘আমার ভাইসহ যারা নির্দোষ, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে চাকরিতে পুনর্বহাল এবং পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।’’

ঢাকা/তারেকুর/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১৬ বছর পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

আবাহনীর ২৪ নাকি মোহামেডানের ১০!

ঢাকার ক্লাব লড়াইয়ে আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের লড়াই মানেই ভিন্ন আবহ, উত্তেজনা আর রোমাঞ্চে ঠাসা। সেটা ক্রিকেট হোক বা ফুটবল। কিংবা হকি। ‘ঢাকা ডার্বি’ বছর টু বছরই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। আর সেটা যদি হয় শিরোপার ফয়সালার ম‌্যাচ…তাহলে তো কথাই নেই। উত্তেজনার স্ফূলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে চারপাশেই।

সেই মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের খেলায়। লিগের শিরোপা নির্ধারণী ‘অঘোষিত ফাইনাল’ আগামীকাল মিরপুর শের-ই-বাংলায় অনুষ্ঠিত হবে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলের লড়াইয়ে যারা জিতবে তারাই জিতে যাবে শিরোপা। আবাহনী ঢাকা লিগের সবচেয়ে সফল দল। লিগের বর্তমান শিরোপাধারীরা ২৩ বার এই শিরোপা জিতেছে। মোহামেডান জিতেছে নয়বার।

লিগের গত মৌসুমে আবাহনী শিরোপা জিতেছিল। মোহামেডান হয়েছিল রানার্সআপ। এবার কার মুখে হাসি ফোটে সেটাই দেখার।

আরো পড়ুন:

অবিলম্বে কার্যকর হবে হৃদয়ের শাস্তি

ইমরানউজ্জামাানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণীর বড় জয়

মোহামেডান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শেষ শিরোপা জিতেছিল ২০০৯-১০ মৌসুমে। বিমান বাংলাদেশকে হারিয়ে মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটি শিরোপা পেয়েছিল। এরপর দুইবার কেবল রানার্সআপ হয়েছিল। বাকিটা সময়ে শিরোপার কাছেও যেতে পারেনি। লম্বা সময় পর তাদের শিরোপার হাতছানি। সেজন‌্য আবাহনীকে হারাতেই হবে।

আবাহনী ২৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। মোহামেডানের পয়েন্ট ২২। শেষ ম্যাচে মোহামেডান শেষ বলে জয় নিশ্চিত করে ২ পয়েন্ট পায়। ম্যাচটিতে মোহামেডান হেরে গেলে আবাহনীর শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেত এক ম্যাচ আগেই। কিন্তু শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রাখে মোহামেডান।

আগামীকাল মোহামেডান জিতলে দুই দলের পয়েন্ট হবে ২৪। লিগের নিয়ম অনুযায়ী, দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে হেড টু হেড হিসেব আসবে। লিগের রাউন্ড রবিন লিগে মোহামেডান আবাহনীকে হারিয়েছিল। সুপার লিগেও তারা জিততে পারলে হেড টু হেডে দুইবারই তারা এগিয়ে থাকবে। তাতে শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে সাদা-কালো শিবিরের।

আর আবাহনী ম্যাচটা জিততে পারলে, প্রথম মুখোমুখির প্রতিশোধ নিতে পারলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই তারা জিতে যাবে শিরোপা। তৃতীয় হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের হাতছানি তাদের। এর আগে ২০১৮-২০২০ এবং ২০০৭-২০০৯ মৌসুমে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতেছিল ঐতিহ্যবাহী দলটি।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আবাহনীর ২৪ নাকি মোহামেডানের ১০!