আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে যশোরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে শহরের সার্কিট হাউজের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। 

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, “বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দুই হাজার ছাত্র জনতা নিহত হয়েছে। ২০ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। এখনো তাদের রক্তের দাগ শুকায়নি। এখনো আমাদের সহযোদ্ধারা বিছানায় কাতরাচ্ছে। কেউ পা হারিয়েছে, কেউ চোখ হারিয়েছে। এ অবস্থায় নির্লজ্জ আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসার পাঁয়তারা করছে। তারা এই দেশটাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এখনো পর্যন্ত রাজপথ ছাড়েনি। ফ্যাসিবাদ বিরোধী যত শক্তি আছে, তারা এখনো নিজেদের মধ্যে ঐক্যধারণ করে আছে।” 

তিনি বলেন, “৫ আগস্ট আমরা তাদের যেভাবে বিতাড়িত করেছি একইভাবে এবারও বিতাড়িত করব। যেখানেই ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর, দালালদের পাবেন- সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের কাছে ধরিয়ে দেবেন। আমাদের নীরবতাকে তারা মনে করেছে দুর্বলতা। তোমরা যদি রাজপথে নেমে আসো, তাহলে তোমাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না।” 

সমাবেশে আরোও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সদস্য সচিব সাদমান বিন কবির, সদর উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সুয়াইব হোসাইন।

ঢাকা/রিটন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ