চট্টগ্রাম নগরে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার ভোরে নগরের জিইসি মোড়ে মিছিলটি বের করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ১ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের একটি মিছিলের ভিডিও প্রচার করা হয়। 

সেখানে উল্লেখ করা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে মহানগর এবং দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। মিছিলটিতে ২০-২৫ জনকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হঠাৎ কয়েকজন যুবক এসে একটি ব্যানার নিয়ে মিছিল করেন। পাঁচ মিনিটের মধ্যে তারা সটকে পড়েন। 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বায়েজিদ জোনের সহকারী কমিশনার রকিবুল হাসান বলেন, জিইসি মোড়ে সকালে একটি মিছিল হয়েছে। মিছিলে অংশ নেওয়াদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
 
এর আগে গত বছরের ১৮ অক্টোবর গভীর রাতে নগরের জামালখানে ঝটিকা মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। মিছিলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই বছরের ১৭ নভেম্বর মধ্যরাতে নগরের প্রবর্তক মোড়ে ঝটিকা মিছিল করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। পরে অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত

ভোলায় গ্যাস ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে চলমান ছয় দফা আন্দোলন স্থগিত করেছে ‘আমরা ভোলাবাসী’। সরকারি আশ্বাসের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নেতারা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও আমরা ভোলাবাসীর জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সদস্য রাইসুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এনামুল হক, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাসিন বিল্লাহ, ভোলা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, ইসলামী আন্দোলনের ভোলা উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. কামাল হোসেন ও আমরা ভোলাবাসীর সদস্যসচিব মীর মোশাররফ হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভোলার গ্যাস স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে দাবি আদায়ে অগ্রগতি হয়েছে।

আমরা ভোলাবাসীর দাবির মধ্যে রয়েছে, ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, বিদ্যমান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার সুবিধা নিশ্চিত করা, ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণ, ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ, গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন ও নদীভাঙন প্রতিরোধ।

সংগঠনটি জানায়, আন্দোলনের আগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে মাত্র আট চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জন। আরও চিকিৎসক, নার্স ও যন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে নতুন মেডিকেল কলেজ হলে, সেটি ভোলায় হবে। ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রেও ফিজিবিলিটি স্টাডি ও নকশা সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সার কারখানা ও ইপিজেড স্থাপনের জন্য জমি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নেতারা। গ্যাস–সংযোগের বিষয়ে জানানো হয়, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিকে ডিমান্ড নোট জমা দেওয়া ২ হাজার ১৪৫ গ্রাহককে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া হবে এবং ন্যায্যমূল্যে ২০ হাজার সিলিন্ডার বিতরণ করা হবে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আবার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের থেকে তরুণদের দূরে থাকতে হবে: মজিবুর রহমান
  • শিশু নাঈমের পাশে ইবি ক্রিকেট ক্লাব
  • ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত