যুবদল নেতাকে হত্যাচেষ্টা, কলারোয়ায় রোমেল-রঞ্জু বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা
Published: 30th, January 2025 GMT
কলারোয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জামানউদ্দিন টুটুলকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী টুটুলের বাবা বিএনপি নেতা মো. শফিউদ্দিন মন্টু রোমেল-রঞ্জুরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আরেফিন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলা নম্বর ১৯। মামলায় উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালিদ মঞ্জুর রোমেল এবং উপজেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আরিফুর রহমান রঞ্জু ও দেবুকে এজহারনামীয় আসামি করে আরও চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বুধবার দুপুরে জামানউদ্দিন টুটুলকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে রোমেল-রঞ্জুর নেতৃত্বাধীন বাহিনী। হত্যার উদ্দেশ্যে টুটুলের ওপর এই হামলা হয়। উপজেলার যুগিবাড়ি নদীর মাটিকাটাকে কেন্দ্র করে উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালিদ মঞ্জুর রোমেল এবং উপজেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদলের আরিফুর রহমান রঞ্জুর নেতৃত্বে এই হামলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, টুটুলের মাটির ব্যবসা আছে। নদী থেকে ইটভাটায় মাটি উত্তোলন করতে গেলে দেশীয় অস্ত্রসহ উপস্থিত হয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে রোমেল-রঞ্জু বাহিনী। টুটুল চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে টুটুলের মাথায় দা দিয়ে কোপ মারেন সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি রোমেল। শাবল দিয়ে আঘাত করেন বর্তমান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রঞ্জু। তাৎক্ষণিক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন টুটুল। এ সময় রোমেল-রঞ্জুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাদের অন্যতম সহযোগী দেবু।
কলারোয়া থানার ওসি শামসুল আরেফিন বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিলো। তাদের গ্রেপ্তারে করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য বদল ন ত কল র য় উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’