স্বরূপকাঠিতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুলের কারণে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সহপাঠীরা ‘হেলথকেয়ার’ নামে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘেরাও করে। পরে এটিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম জিহাদুল ইসলাম। সে সোহাগদল গ্রামের আমিনুল ইসলাম মিলনের ছেলে। 
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে জিহাদুল মোটরসাইকেল থেকে পড়ে পায়ে ব্যথা পায়। তাকে নেছারাবাদ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক গোড়ালি এক্স-রে করতে হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান। সেখানকার টেকনিশিয়ান চিকিৎসকের দেওয়া ব্যবস্থাপত্র না দেখেই হাঁটুতে এক্স-রে করেন। চিকিৎসক প্রতিবেদন দেখে পুরো পা ব্যান্ডেজ করে ছেড়ে দেন। কয়েক দিনের মাথায় জিহাদুলের পায়ে পচন ধরে। এ কারণে তার পা কেটে ফেলতে হয়। 
জিহাদুলের বাবা আমিনুল ইসলাম বলেন, ছেলের অবস্থা খারাপ দেখে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন, গোড়ালির রগ ছিঁড়ে গিয়েছিল। ভুল চিকিৎসায় ছেলের পায়ে ভেতর থেকে পচে গেছে। চিকিৎসকরা বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ছেলের পা কেটে ফেলেছেন। 
হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মাসুদ রানা বলেন, ‘ছেলেটির কথামতো আমরা এক্স-রে করে দিয়েছি। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখে এক্স-রে করলে এ সমস্যা হতো না। আমাদের ভুল হয়েছে।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক এক স র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ