তীরে এসে ডুবল ইংল্যান্ডের তরী, ভারতে খোয়াল সিরিজ
Published: 31st, January 2025 GMT
সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের কাছে পুনেতে কীভাবে হেরে গেল, সেটাই এক বিরাট বিস্ময়! জয়ের তীরে এসে ডুবল টিম ইংল্যান্ডের তরী। আর তাতেই ভারতের কাছে সিরিজ খোয়াতে হলো সফরকারী ইংলিশদের।
সিরিজ বাঁচানোর মিশনে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দুর্দান্ত শুরু পায় ইংল্যান্ড। ১২ রান তুলতে ৩ উইকেট হারায় ভারত। পঞ্চম উইকেট হারায় ৭৯ রানে। শিশির ভেজা উইকেটে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৮১ রান করে স্বাগতিকরা। ৫৩ রানের দুটি কার্যকর ইনিংস খেলেন শিভাব দুমে ও হার্দিক পান্ডিয়া।
জবাব দিতে নেমে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬২ রান তুলে নেয় ইংলিশরা। ১৪ ওভার পর্যন্ত তারাই ছিল ফেভারিট। স্কোর বোর্ডে রান তখন ৪ উইকেটে ১২৪। শেষ ৩৬ বলে ৫৮ রান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মামুলি ব্যাপারই বটে। তবে বিধি বাম; ১৫তম ওভারে সব সমীকরণ পাল্টে যায়।
আরো পড়ুন:
ভারতকে জিতিয়ে অনন্য রেকর্ডে তিলক
অভিষেক ঝড়ে উড়ে গেল ইংল্যান্ড
স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী নিজের শেষ ওভার এসে তুলে নেন হ্যারি ব্রুক ও ব্রাইডন কার্সের উইকেট। আর তাতেই হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ ফসকে যায় ইংল্যান্ডের। ১৯.
ভারতের জয়ের নায়ক শিভাব দুমে। ৩৪ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রান করেন তিনি। হার্দিক ৩০ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৫৩ রানের ইনিংসটি সাজান। এর আগে রিংকু সিং ৩০ ও অভিষেক শর্মা ২৯ রান করেন। বল হাতে ইংল্যান্ডের হয়ে ৩টি উইকেট নেন সাকিব মাহমুদ।
ইংল্যান্ডকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট। তবে ভালো শুরুর পর তারা কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। সল্ট ২৩ ও ডাকেট ৩৯ রানে আউট হন। ভালো করতে পারেননি অধিনায়ক বাটলার। ২ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। সেখান থেকে হ্যারি ব্রুকের ঝড়ে লড়াইয়ে টিকে থাকে ইংল্যান্ড। ২৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রান করেন ব্রুক।
১৫তম ওভারে বরুণ এসে তাকে ফেরালে ম্যাচ বেরিয়ে যায় সফরকারীদের হাত থেকে। পরের ব্যাটসম্যানরা কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন। ১০ রান করেন ওভারটন। আর ১০ রান আসে আদির রশিদের ব্যাট থেকে।
বল হাতে রবি বিষ্ণুয় ও হারশিত রানা ৩টি করে উইকেট নেন। সিরিজের পঞ্চম ম্যাচ ২ ফেব্রুয়ারি ওয়াংখেড়েতে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি