চাঁদপুরে তুচ্ছ ঘটনার জেরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
Published: 1st, February 2025 GMT
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরে সেলিম হোসেন (৪৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের গৌড়েশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সেলিম হোসেন ওই গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মো. আবুল কালাম কালুর ছেলে। অভিযুক্তের নাম আকবর হোসেন কাজী (৬০)। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
সেলিমের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানের চারা রোপণের সময় কবিরাজ বাড়ির জাহাঙ্গীরের সঙ্গে একই গ্রামের আজিজ কাজীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই দিন সন্ধ্যায় আজিজের ভাই চান মিয়ার সঙ্গে জাহাঙ্গীরের ভাতিজা সেলিমের ছেলের সঙ্গে মারামারি হয়। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য সমাধানের উদ্যোগ নেন।
কিন্তু, শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই সেলিমকে পিটিয়ে আহত করেন আজিজ কাজীর চাচা আকবর কাজীসহ অন্যরা। স্থানীয়রা সেলিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, ‘‘মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্নের পর ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/অমরেশ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে নছিমন চাপায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত
আড়াইহাজারে নছিমন চাপায় আলী আকবর (৬৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে উপজেলার উচিৎপুরা-রামচন্দ্রদী সড়কের গহরদী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আলী আকবার উচিৎপুরা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আলী আকবর মাছের ব্যবসা করতেন। ঘটনার সময় ভোরে মাছ আনার জন্য তিনি দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে একটি নছিমন দিয়ে ভুলতার উদ্দেশে রওনা দেন।
গহরদী এলাকায় আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নছিমনটি রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এতে আলী আকবর গাড়ীর নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। এই সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মূত ঘোষনা করেন।
আড়াইহাজার সরকারি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সুমন দাস জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে কোনো আঘাত ছিল না। চাপা পড়ে তিনি মারা যান।