আমরা পাল্টা ব্যবস্থা নেব, ট্রাম্পকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী
Published: 1st, February 2025 GMT
কানাডার পণ্যে আজ শনিবার থেকে শুল্ক আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এ শুল্ক আরোপের হুমকি অনেক আগেই দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কানাডার শীর্ষ নেতারা।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মার্ক কার্নি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো ভাবছেন, কানাডা ভেঙে পড়বে। কিন্তু আমরা এর বিরুদ্ধে দাঁড়াব, পিছু হটব না। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা নেব।’
আজ থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ এবং চীনের পণ্যে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরপর ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি থেকে নির্বাচনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মার্ক কার্নি। এ পর্যন্ত পাঁচজন এ পদে নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ব্যাংক অব কানাডা এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক এই গভর্নর কানাডার নিজ দলের সর্বাধিক এমপির সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
আগামী ৯ মার্চ লিবারেল পার্টির শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ২০ অক্টোবর বা তার আগেই কানাডায় জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৫৯ বছর বয়সী কার্নি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে ‘ডলারের বিনিময়ে ডলার দিয়ে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে’।
কার্নি আরও বলেন, এমন শুল্কের জন্য বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের যে সুনাম, তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই শুল্ক (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রবৃদ্ধিতে আঘাত হানবে। মূল্যস্ফীতি বাড়াবে। সুদের হারও বাড়াবে।
শুল্ক আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ‘এক দশকের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো তাদের সবচেয়ে কাছের বাণিজ্যিক অংশীদারের সঙ্গে করা চুক্তি ভঙ্গ করেছে’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে আরেক প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘ডলার-প্রতি-ডলার’ পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেছেন, নতুন শুল্কের বিরুদ্ধে কানাডা ‘জোরালো’ ও ‘তাৎক্ষণিক’ জবাব দেবে।
নির্বাচনী প্রচারকালে ট্রাম্প চীনের পণ্যে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার আগে-পরে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীভূত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আর মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘মার্কিন উপসাগর’ রাখেন। এ ছাড়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়েও দেশটির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ল ক আর প র
এছাড়াও পড়ুন:
গল টেস্টে খেলা হচ্ছে না মিরাজের!
গল টেস্ট দিয়ে নতুন টেস্ট চক্রে ভালো শুরু করতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। তবে শুরুতেই পূর্ণ শক্তির একাদশ নিয়ে লঙ্কা লড়াইয়ে নাও নামতে পারে বাংলাদেশ। কারণ প্রথম টেস্টে দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য মেহেদী মিরাজকে না পাওয়ার শঙ্কাই জোরারো।
দলের একমাত্র অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ফ্লুতে আক্রান্ত। জ্বর-ব্যথা না থাকলেও ভাইরাসের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। মিরাজ না চাইলে টিম ম্যানেজমেন্ট জোরাজুরি করবে না হয়তো। যদিও তার খেলা না খেলার ওপর একাদশে প্রভাব থাকবে।
শান্তকে অনিশ্চয়তার কথাই বলতে হয়েছে মিরাজকে নিয়ে, ‘এখনও মিরাজের শরীরটা খারাপ আছে, তবে উন্নতি করছে। ওর খেলা না-খেলার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। ওই জায়গাটা যদি ঠিক থাকে, তাহলে আমরা একটা ভালো কম্বিনেশন নিয়ে নামতে পারব।’
শেষ পর্যন্ত মিরাজ খেলতে না পারলে ব্যাটিং লাইনআপ ছোট হবে। এ ক্ষেত্রে ইনিংস ওপেন করতে পারেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাদমান ইসলাম। মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস ও জাকের আলী খেলবেন মূল ব্যাটার হিসেবে। বোলিং লাইনআপটাও সাজাতে হবে স্পিন বিভাগকে গুরুত্ব দিয়ে। কারণ গল স্পিন স্বর্গ।
বিষয়টি মাথায় রেখে বাঁহাতি তাইজুল ইসলামের সঙ্গে অফ স্পিনার নাঈম হাসান খেলতে পারেন। তিন স্পিনার খেলালে হাসান মুরাদের কপাল খুলবে। তিন স্পিনার হলে পেস বিভাগে হাসান মাহমুদ থাকবেন একা। দুই স্পিনার হলে নাহিদ রানা সুযোগ পেতে পারেন।