নিজের বিরুদ্ধে অনিয়মের কোনো অভিযোগ তোলা নিউজ বা ভিডিও সচারচরই ফেসবুকে শেয়ার করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গত কয়েকদিন ধরে তার ব্যবহৃত মাফলার নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এবার আলোচিত সেই মাফলারটি বিক্রির ঘোষণা দিলেন প্রেস সচিব। 

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মাফলার পরিহিত দুটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে এক পোস্টে রসিকতা করে তা বিক্রির কথা জানান তিনি।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “আলোচিত ও সমালোচিত বারবেরি মাফলারটি তার আসল দাম ৮৬ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হবে। কোনো সহৃদয় ব্যক্তি ‘অভয়ারণ্য - বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে’এই টাকা দিয়ে মাফলারটি কিনতে পারবেন।”

“পরিচয় গোপন রেখে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরাও মাফলারটি কিনতে পারবেন। তবে এ জন্য আওয়ামী লীগ সমর্থককে অবশ্য গুনতে হবে ৮৬ হাজার ৬০০ ডলার। মাফলারটি দুইবার ধোয়ার পর ক্রেতাকে মাফলারটি দেওয়া হবে।” 

এর আগে প্রেস সচিবের মাফলার পরা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। কেউ কেউ দাবি করেন মাফলারটির দাম ৮৬ হাজার ৬০০ টাকা। অবশ্য ওই পোস্টে কেউ কেউ রসিকতাও করেন। 

প্রেস সচিবের শেয়ার করা আজকের পোস্টেও এসেছে নানা ধরনের মন্তব্য। 

মেদেহী হাসান পলাশ নামে একজন সেখানে লিখেছেন, “ভাই চাদর আর চশমাটা কোন ব্র্যান্ডের আর কত দামের যদি জানিয়ে দেন তাহলে কিছু মানুষের অনুসন্ধানের কষ্ট আর করতে হয় না।” 

রুদ্র অহম নামে আরেকজন লিখেছেন, “নিলাম কি ভারতে হবে নাকি গুলিস্তান? না মানে, আমি উপস্থিত থাকতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমার ভারতের ভিসা নেই।”

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রেস সচিবের ওই পোস্টটি শেয়ার হয়েছে দেড় হাজারের বেশি এবং সেখানে হা হা রিয়েক্ট দিয়েছেন দেড় হাজারের বেশি মানুষ।

ঢাকা/ইভা

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ফল র

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ