আলোচিত সেই মাফলার বিক্রির ঘোষণা দিলেন প্রেস সচিব
Published: 1st, February 2025 GMT
নিজের বিরুদ্ধে অনিয়মের কোনো অভিযোগ তোলা নিউজ বা ভিডিও সচারচরই ফেসবুকে শেয়ার করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গত কয়েকদিন ধরে তার ব্যবহৃত মাফলার নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এবার আলোচিত সেই মাফলারটি বিক্রির ঘোষণা দিলেন প্রেস সচিব।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মাফলার পরিহিত দুটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে এক পোস্টে রসিকতা করে তা বিক্রির কথা জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “আলোচিত ও সমালোচিত বারবেরি মাফলারটি তার আসল দাম ৮৬ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হবে। কোনো সহৃদয় ব্যক্তি ‘অভয়ারণ্য - বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে’এই টাকা দিয়ে মাফলারটি কিনতে পারবেন।”
“পরিচয় গোপন রেখে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরাও মাফলারটি কিনতে পারবেন। তবে এ জন্য আওয়ামী লীগ সমর্থককে অবশ্য গুনতে হবে ৮৬ হাজার ৬০০ ডলার। মাফলারটি দুইবার ধোয়ার পর ক্রেতাকে মাফলারটি দেওয়া হবে।”
এর আগে প্রেস সচিবের মাফলার পরা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। কেউ কেউ দাবি করেন মাফলারটির দাম ৮৬ হাজার ৬০০ টাকা। অবশ্য ওই পোস্টে কেউ কেউ রসিকতাও করেন।
প্রেস সচিবের শেয়ার করা আজকের পোস্টেও এসেছে নানা ধরনের মন্তব্য।
মেদেহী হাসান পলাশ নামে একজন সেখানে লিখেছেন, “ভাই চাদর আর চশমাটা কোন ব্র্যান্ডের আর কত দামের যদি জানিয়ে দেন তাহলে কিছু মানুষের অনুসন্ধানের কষ্ট আর করতে হয় না।”
রুদ্র অহম নামে আরেকজন লিখেছেন, “নিলাম কি ভারতে হবে নাকি গুলিস্তান? না মানে, আমি উপস্থিত থাকতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমার ভারতের ভিসা নেই।”
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রেস সচিবের ওই পোস্টটি শেয়ার হয়েছে দেড় হাজারের বেশি এবং সেখানে হা হা রিয়েক্ট দিয়েছেন দেড় হাজারের বেশি মানুষ।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।
ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।
জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।
ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।
আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’
জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল