পরী বললেন, আমরা সবাই খুশি, এখন বাড়ি যাবো
Published: 1st, February 2025 GMT
হালের ক্রেজ পরীমণি সারা বছরই আলোচনায় থাকেন। ২০২৩ সালের শেষের দিকে ‘ডোডোর গল্প’ শিরোনামের সিনেমার শুটিং শুরু করেন তিনি। একবছর চার মাস তেইশ দিন শুটিংয়ের পর শেষ হলো সিনেমাটির শুটিং। খুশির এই সংবাদটি পরী নিজেই তার ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সবাইকে জানিয়েছেন। সিনেমাটিতে সাইমন সাদিকের বিপরীতে অভিনয় করেন পরীমণি।
ভিডিওতে পীরকে বলতে শোনা যায়, ‘‘অবশেষে ১৬ মাস শুটিং শেষে আমাদের ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমার শুটিং শেষ হয়েছে। আমরা সবাই খুশি। এখন বাড়ি যাবো।’
এরপর তিনি কাজটি শেষ করা নিয়ে আরো জানান, গল্পের কারণে মাঝে শুটিংয়ে কিছুটা বিরতি হয়। তবে কাজটি ভালো ভাবে যত্ন নিয়ে কারায় তিনি বেশ উচ্ছ্বাসিত।
পরীর কাছে এই সিনেমাটি অনেক স্পেশাল। কারণ ‘ডোডোর গল্প’ দিয়ে তিনি মাতৃত্বকালীন বিরতি থেকে প্রায় দুই বছর পর শুটিংয়ে ফিরেন। তাই নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজটি করেছেন এই নায়িকা।
পরী বলেন, “আমার কছে প্রতিটি সিনেমাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অভিনয় করতে আমি ভালোবাসি। সেই ভালোবাসা থেকে আমার দর্শকের জন্য আরও একটি সিনেমার শুটিং সম্পন্ন করলাম। আশাকরছি এটি সবার পছন্দ হবে।”
জি-সিরিজ প্রযোজিত সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রেজা ঘটক। এতে ‘কাজল চৌধুরী’ চরিত্রে অভিনয় করছেন পরীমণি আর ফটোগ্রাফার ‘রায়হান’ চরিত্রে দেখা যাবে সাইমন সাদিককে।
সিনেমাটি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পায়।
ঢাকা/রাহাত/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর
* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।
* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।
* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।
শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।
এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।
আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।
গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।
টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল