ভিটামিন সি যুক্ত খাবার কেন খাবেন?
Published: 1st, February 2025 GMT
শরীর সুস্থ রাখতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন। এর মধ্যে অন্যতম হল ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শরীরের জন্য খুবই জরুরি। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্থাৎ ইমিউনিটি বাড়ায়। ইমিউনিটি সিস্টেম মজবুত থাকলে কোনো রোগ সহজে আপনাকে কাবু করতে পারবে না। এছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে আপনার ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। ভিটামিন সি ত্বকের ইলাস্টিসিটি বা টানটান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। চুল পড়ার সমস্যা কমায় । হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে এই ভিটামিন। এর পাশাপাশি হাড়ের গঠন মজবুত করে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি। চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখার ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ভিটামিন সি- র।
যেকোনও ধরনের লেবু জাতীয় ফলের মধ্যে ভিটামিন সি- এর মাত্রা যে সবচেয়ে বেশি থাকে, তা অনেকেরই জানা। এ ছাড়াও আরও অনেক খাবারেই ভিটামিন সি রয়েছে।
হলুদ রঙের ক্যাপসিকাম বা বেলপেপার
এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা একপ্রকারের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং চোখের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে, দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে। হলুদ রঙের বেলপেপারে ফাইবারের পরিমাণও প্রচুর। এই খাবার খেলে হজমশক্তি ভাল হয় এবং পেটের যাবতীয় সমসা, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
কিউই ফল
কিউই ফলের মধ্যে ভিটামিন সি এবং ফাইবার, দুইয়ের পরিমাণই প্রচুর। এই ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে।
পেয়ারা
পেয়ারার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার আছে। নিয়মিত পেয়ারা খেলে হজমশক্তি ভাল হবে। দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা। পেয়ারার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে।
পাকা পেঁপে
পেঁপের মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। পাকা পেঁপে নিয়মিত খেতে পারলে লিভারের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। পেট পরিষ্কার করে এই ফল। দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। এর পাশাপাশি হজম করার শক্তিও বাড়ায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র পর ম ণ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’