পাঁচ সঞ্চয় কর্মসূচিতে মুনাফা বাড়ল
Published: 1st, February 2025 GMT
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত পাঁচটি সঞ্চয় কর্মসূচিতে মুনাফা বাড়িয়েছে সরকার। স্কিমের ধরন অনুযায়ী নতুন মুনাফার হার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ হার কার্যকর হয়েছে। পাঁচ স্কিমের মধ্যে আছে—পরিবার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি অনুবিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সুদের হার বাড়ানোর ফলে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে আগ্রহ বেড়েছে। সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য ব্যাংকের শাখাগুলোতে গ্রাহকের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ করা হয়েছে। একটি ধাপ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারী, দ্বিতীয় ধাপ হলো ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী।
পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ বা তার কম টাকা বিনিয়োগ করা ব্যক্তিরা সাড়ে ১২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করা ব্যক্তিরা মুনাফা পাবেন ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ লাখ বা তার কম টাকা বিনিয়োগ করা ব্যক্তিদের জন্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি টাকা বিনিয়োগ করা ব্যক্তিরা মুনাফা পাবেন ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে।
তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ বা তার কম টাকা বিনিয়োগ করা ব্যক্তিদের মুনাফার হার ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করা ব্যক্তিদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।
পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ বা তার কম টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করা ব্যক্তিদের জন্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে সাড়ে ৭ লাখ বা তার কম টাকা বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।
ঢাকা/হাসনাত/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র জন য ম ন ফ র হ র ব ন য় গ কর ত র কম ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
মাইক্রোসফটের বদলে গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে চ্যাটজিপিটি, কেন
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মাইক্রোসফট। আর তাই চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকেই মাইক্রোসফটের সার্ভার ব্যবহার করে আসছে ওপেনএআই। তবে এবার মাইক্রোসফটের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমাতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির দৌড়ে গুগল ও ওপেনএআই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম পরিচালনায় গুগলের ক্লাউড অবকাঠামো ও সার্ভার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে ওপেনএআই।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই মডেল পরিচালনার জন্য গত মাসে গুগলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওপেনএআই। চুক্তির আওতায় গুগল তাদের ডেটা সেন্টার ও ক্লাউড সেবায় ‘অতিরিক্ত কম্পিউটিং সক্ষমতা’ দেবে ওপেনএআইকে। যদিও দুই প্রতিষ্ঠান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি ভবিষ্যতের এআই উন্নয়ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
চ্যাটজিপিটি মূলত মাইক্রোসফটের অ্যাজুর ক্লাউড অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে পরিচালনা করা হয়। তাই ওপেনএআই এত দিন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ব্যবহার করতে পারেনি। গত জানুয়ারি মাসে এই একচেটিয়া চুক্তির সীমাবদ্ধতা শেষ হওয়ার পর ওপেনএআই নতুন অংশীদার খুঁজতে শুরু করে। তবে চ্যাটজিপিটি পুরোপুরি গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে, না মাইক্রোসফট ও গুগলের সার্ভার যৌথভাবে ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চ্যাটজিপিটি বড় ধরনের প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের মুখে পড়েছে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট অবকাঠামোর ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে একাধিক ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম চালু রাখা অনেক সহজ হবে। এতে যেকোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা সিস্টেম সমস্যার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগও মিলবে।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ