জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত পাঁচটি সঞ্চয় কর্মসূচিতে মুনাফা বাড়িয়েছে সরকার। স্কিমের ধরন অনুযায়ী নতুন মুনাফার হার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ হার কার্যকর হয়েছে। পাঁচ স্কিমের মধ্যে আছে—পরিবার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি অনুবিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সুদের হার বাড়ানোর ফলে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে আগ্রহ বেড়েছে। সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য ব্যাংকের শাখাগুলোতে গ্রাহকের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। 

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ করা হয়েছে। একটি ধাপ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারী, দ্বিতীয় ধাপ হলো ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী। 

পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ বা তার কম টাকা বিনিয়োগ করা ব্যক্তিরা সাড়ে ১২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করা ব্যক্তিরা মুনাফা পাবেন ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে।

পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ লাখ বা তার কম টাকা বিনিয়োগ করা ব্যক্তিদের জন্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি টাকা বিনিয়োগ করা ব্যক্তিরা মুনাফা পাবেন ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে।

তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ বা তার কম টাকা বিনিয়োগ করা ব্যক্তিদের মুনাফার হার ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করা ব্যক্তিদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।

পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ বা তার কম টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করা ব্যক্তিদের জন্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। 

পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে সাড়ে ৭ লাখ বা তার কম টাকা বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র জন য ম ন ফ র হ র ব ন য় গ কর ত র কম ট ক

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক

শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা  আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। 

আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন। 

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি

৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।

শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”

আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিউলিপ এখনো বাংলাদেশের ভোটার, আছে পাসপোর্ট, এনআইডিও
  • পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার ১০ সুবিধা
  • পাবনার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক, অভিযোগ শ্যালকের 
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
  • সঞ্চয়পত্র নাকি এফডিআর—কোথায় বিনিয়োগ করবেন