বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় দূরপাল্লার বাসের ধাক্কায় ইজিবাইকের চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সামনে দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, ইজিবাইক চালক মজনু মোল্লা (৪৫) ও তার বোন সুমি বেগম (৩৬)। তারা মোরেলগঞ্জ উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের দোনা গ্রামের বাসিন্দা।

আহতরা হলেন, সুমি বেগমের ৪ মাস বয়সী মেয়ে মিলি আক্তার, একই পরিবারের ঝুমুর বেগম (৪৮) ও সিয়াম খান (৩৫)।

আরো পড়ুন:

পীরগঞ্জে ২ মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

‘যানজট-দূষণ রোধে গণপরিবহন ব্যবস্থা ঢে‌লে সাজা‌তে হ‌বে’

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, শরণখোলা থেকে ঢাকাগামী জিএমএস পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস বিপরীতদিক থেকে আসা ইজিবাইকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন মারা যায়। স্থানীয়রা আহত তিনজনকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.

মোজাহিদুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুইজন মৃত ছিল। আহত তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে চার মাস বয়সী একটি শিশুও রয়েছে।

দুর্ঘটনার পর পুলিশ বাসটি জব্দ করলেও চালক ও তার সহযোগীরা পালিয়ে গেছে।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার পলাতক। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ঢাকা/শহিদুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ম র লগঞ জ উপজ ল দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ