চট্টগ্রামের ইমন-শামীমে দুইশ’ ছাড়ানো লক্ষ্য পেল বরিশাল
Published: 1st, February 2025 GMT
বিপিএলের গ্রুপ পর্বের শেষ দিনও তিন দলের মধ্যে সমীকরণের নানা যোগ-বিয়োগ ছিল। জিতলে সুপার ফোর নিশ্চিত ছিল খুলনা টাইগার্সের। হারলে নিতে হতো বিদায়। চট্টগ্রাম কিংসের জন্য ছিল রংপুরকে হটিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করার ম্যাচ। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সেরা দল ফরচুন বরিশাল ছিল মোহাম্মদ মিঠুনদের প্রতিপক্ষ।
ওই ম্যাচে পারভেজ হোসেন ইমন, হায়দার আলী ও শামীম পাটোয়ারির ব্যাটে ৪ উইকেটে ২০৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ফিফটি করেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে থাকা চট্টগ্রামে ওপেনার পারভেজ ইমন।
শনিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম ৬.
ইমন খেলেন ৪১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আটটি ছক্কার শট আসে। তিনি চার মারেন মাত্র একটি। শেষে হায়দার ও শামীম ঝড়ো ব্যাটিং করে দলের রান দুইশ’র ওপরে নিয়ে যান। পাকিস্তানি মিডল অর্ডার ব্যাটার হায়দার ২৩ বলে ৪২ রান করেন। তিনটি করে চার ও ছক্কা মারেন। শামীম ১২ বলে ৩০ রান করেন। তিনটি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা হাঁকান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’