২৪ রানের দারুণ জয়ে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই নিশ্চিত করেছে চিটাগং কিংস। তারা জায়গা করে নিয়েছে প্রথম কোয়ালিফায়ারে। যেখানে আগে থেকেই ছিল ফরচুন বরিশাল। 

ফলে আগামী সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে এই দুই দল ফের মুখোমুখি হবে। ম্যাচে যারা জিতবে তারা চলে যাবে ফাইনালে। পরাজিত দল ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ পাবে। খেলবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। 

এলিমিনেটর ম্যাচে রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্স মুখোমুখি হবে। এই দুই দলের বিজয়ী দল খেলবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার।

আরো পড়ুন:

ফিক্সিংয়ের সংবাদ নিয়ে মিথুন 
আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে, এটা কখনো ছাড় দেই না

শরিফুলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, ৫ রানে ৪ উইকেট

চিটাগংয়ের আজকে জয়ের বিকল্প ছিল না। বরিশালের কাছে তারা মুখোমুখি লড়াইয়ের প্রথমটা হেরেছিল। কিন্তু ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলা চিটাগং ছিল আত্মবিশ্বাসী। তাইতো সেরা দুইয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে সেরা ক্রিকেটটাই খেলল তারা। 

টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ২০৬ রানের পুঁজি পায় তারা। জবাবে বরিশালের ব্যাটিংকে আটকে দেয় ১৮২ রানে।

জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ডেভিড মালানকে থামানো। তামিম এবারের বিপিএলের তৃতীয় ডাকের তিক্ত স্বাদ পাওয়ার পর মালান ক্রিজে এসে সমীকরণ পাল্টে দেন। ৩৪ বলে ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ৬৭ রান করেন। মাঝে সীমানায় ক্যাচ তুলে বেঁচে যান। ইমন তার ক্যাচ নিতে পারেননি। 
১৪তম ওভারের শেষ বলে মালানকে থামায় চিটাগং। আলিস আল ইসলামের বলে ক্লার্কের হাতে ক্যাচ দেন। এরপর চিটাগংয়ের জয়ের পথ মসৃণ হয়ে যায়। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ ২টি করে চার ও ছক্কায় ২৬ বলে ৪১ রান করলেও জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। মুশফিক ২২ বলে ২৪ রান করেন। রান পাননি তাওহীদ হৃদয়। ৯ রানে ফেরেন সাজঘরে।

চিটাগংয়ের বোলিং ছিল আঁটসাঁট। ২টি করে উইকেট নেন বিনুরা ফার্নান্দো ও আলিস আল ইসলাম। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন খালেদ আহমেদ ও আরাফাত সানী। 

এর আগে ব্যাটিংয়ে তাদের হয়ে ঝড়ো ইনিংস খেলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ৮ ছক্কা ও ১ চারে ৪১ বলে ৭৫ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। ফুলারের বলে ৬ রানে জীবন পাওয়ার পর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। জীবন পেয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে বোলারদের কড়া শাসন করেন। এছাড়া ২৩ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪২ রান করেন হায়দার আলী। শামীম হোসেন দলের দাবি মিটিয়েছেন দারুণভাবে। ১২ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে তোলেন ৩০ রান। তার শেষের ঝড়েই চিটাগংয়ের রান দুইশ পেরিয়ে যায়। 

দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে ১-১ এ সমতায়। এবার তাদের লড়াই ফাইনালে যাওয়ার। একদিন পর কার মুখে হাসি ফোটে সেটাই দেখার। 

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ