কমলনগরের দরিদ্র শিমার দায়িত্ব নিল জেলা প্রশাসন
Published: 1st, February 2025 GMT
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থী শিমা আক্তারের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন। ২৮ জানুয়ারি সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শিমার হাতে ভর্তিসহ শিক্ষাকার্যক্রমের জন্য আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জানুয়ারি দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রিয় চট্টগ্রাম পাতায় ‘দরিদ্র পরিবারের মেয়ে শিমার মেডিকেলে পড়া নিয়ে শঙ্কা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ভর্তির দায়িত্ব নেয় লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন। এতে দারুণ খুশি শিমার শিক্ষক ও স্বজনরা। তারা দৈনিক সমকালের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
শিমা কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালীয়া গ্রামের আলী আহমেদের মেয়ে। ছোটবেলা থেকে পড়ালেখার প্রতি শিমার প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল। পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করেন তিনি। গত ১৯ জানুয়ারি প্রকাশিত ফলাফলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান শিমা।
শিমা আক্তার বলেন, ‘মেডিকেল পড়া আমার স্বপ্ন ছিল। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য চূড়ান্ত হয়েছি। কিন্তু টাকার অভাবে পড়াশোনা নিয়ে উদ্বিঘ্ন ছিলাম। এখন জেলা প্রশাসন ও কমলনগর উপজেলা প্রশাসন আমাকে ভর্তির জন্য আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে। আমি যেভাবে সবার সহযোগিতা পেলাম, একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে আমিও অন্যদের সহযোগিতায় কাজ করতে চাই।’
শিমার মা আয়েশা বেগম বলেন, ‘মেয়ের ভর্তির খরচসহ পড়োশানা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কারণ আমরা গরিব। শিমার বাবাও অসুস্থ। দৈনিক সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর আমার মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন। আমি সমকাল ও জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, ‘দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী শিমা কঠোর পড়ালেখার মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তি নিয়ে চিন্তায় ছিল। এ বিষয়ে দৈনিক সমকালে সংবাদ দেখে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। প্রাথমিকভাবে ভর্তিসহ আনুষঙ্গিক খরচের জন্য আমরা তাকে সহায়তা করেছি। ভবিষ্যতেও যে কোনো প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও কমলনগর উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু শিমার ক্ষেত্রেই নয়, জেলার প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যা দূর করার জন্য যা প্রয়োজন জেলা প্রশাসন তা করবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ ন ক সমক ল র জন য উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গেপ্তার ২
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নুরুল আমিন সর্দার (৭০) নামে দৃষ্টিহীন এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (১৪ জুন) রাতে পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে মাকছুদ (২৪) ও একই এলাকার মনিরের ছেলে আলমগীর (২৩)।
আরো পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
বগুড়ায় বাল্য বিয়ে দিতে না চাওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামলার বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, গত ৭ এপ্রিল রাতে পূর্বশত্রুতার জেরে মাকছুদ ও আলমগীর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দৃষ্টিহীন বৃদ্ধ নুরুল আমিনের ছেলে বজলুর রহমান ভুলুকে (৩০) মারধর করেন। ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে তার বাবা নুরুল আমিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এসময় তাকেও মারধর করা হয়। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে নিলে নুরুল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বজলুর রহমান বাদী হয়ে গত ১০ এপ্রিল কমলনগর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও নাম না জানা ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর থেকেই আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে র্যাব।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাতে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানাধীন ঘোষবাদ ইউনিয়নের রামবল্লভপুর গ্রাম থেকে মামলার এজাহার নামীয় ৪ নম্বর আসামি মাকছুদকে ও কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন বসুরহাট পৌরসভার সামনে থেকে ৬ নম্বর আসামি আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ