কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থী শিমা আক্তারের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন। ২৮ জানুয়ারি সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শিমার হাতে ভর্তিসহ শিক্ষাকার্যক্রমের জন্য আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার।  
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জানুয়ারি দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রিয় চট্টগ্রাম পাতায় ‘দরিদ্র পরিবারের মেয়ে শিমার মেডিকেলে পড়া নিয়ে শঙ্কা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ভর্তির দায়িত্ব নেয় লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন। এতে দারুণ খুশি শিমার শিক্ষক ও স্বজনরা। তারা দৈনিক সমকালের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
শিমা কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালীয়া গ্রামের আলী আহমেদের  মেয়ে। ছোটবেলা থেকে পড়ালেখার প্রতি শিমার প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল। পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করেন তিনি। গত ১৯ জানুয়ারি প্রকাশিত ফলাফলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান শিমা।
শিমা আক্তার বলেন, ‘মেডিকেল পড়া আমার স্বপ্ন ছিল। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য চূড়ান্ত হয়েছি। কিন্তু টাকার অভাবে পড়াশোনা নিয়ে উদ্বিঘ্ন ছিলাম। এখন জেলা প্রশাসন ও কমলনগর উপজেলা প্রশাসন আমাকে ভর্তির জন্য আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে। আমি যেভাবে সবার সহযোগিতা পেলাম, একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে আমিও অন্যদের সহযোগিতায় কাজ করতে চাই।’
শিমার মা আয়েশা বেগম বলেন, ‘মেয়ের ভর্তির খরচসহ পড়োশানা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কারণ আমরা গরিব। শিমার বাবাও অসুস্থ। দৈনিক সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর আমার মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন। আমি সমকাল ও জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, ‘দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী শিমা কঠোর পড়ালেখার মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তি নিয়ে চিন্তায় ছিল। এ বিষয়ে দৈনিক সমকালে সংবাদ দেখে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। প্রাথমিকভাবে ভর্তিসহ আনুষঙ্গিক খরচের জন্য আমরা তাকে সহায়তা করেছি। ভবিষ্যতেও যে কোনো প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও কমলনগর উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু শিমার ক্ষেত্রেই নয়, জেলার প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যা দূর করার জন্য যা প্রয়োজন জেলা প্রশাসন তা করবে।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ ন ক সমক ল র জন য উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি-জোয়ারে সড়ক বিচ্ছিন্ন, মানুষের দুর্ভোগ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বলিরপোল-নাছিরগঞ্জ সড়কটি অতিবৃষ্টি ও মেঘনা নদীর জোয়ারের পানির চাপে ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে স্থানীয় ২০ হাজার বাসিন্দা চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে। পাশের ক্ষেতের কোমর পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। 

একই কারণে উপজেলার চরমার্টিন ও চরকালকিনিসহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। 

রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরমার্টিন গ্রামে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে। বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে সাইকেল কাঁধে উঠিয়ে এক শিক্ষার্থীকে সাঁকো পারাপার হতে দেখা যায়।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশা চলকদের ধর্মঘট চলছে, ভোগান্তি 

জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে চলাচল উপযোগী হলো সখিপুর-ভালুকা সড়ক

স্থানীয়রা জানায়, নাছিরগঞ্জ-বলিরপোল সড়কের আশপাশে অন্তত ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে। সড়ক ঘেঁষে পূর্বপাশে সরু খাল রয়েছে। প্রবল জোয়ারের সময় সড়কটি ক্ষতির সম্মুখিন হয়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার মানুষের যাতায়াত রয়েছে। অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানির চাপে সড়কটি ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান জানান, তীব্র জোয়ারের চাপে রবিবার (২৭ জুলাই) ভোরে সড়কটি ভেঙে যায়। পরে ১ ঘন্টার মধ্যে ভাঙনস্থল খালে পরিণত হয়েছে। 

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাহাত উজ জামান বলেন, ‘‘সড়কটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা চেষ্টা কররি, এখানে কালভার্ট নির্মাণের। যেন পানি যাওয়ার ব্যবস্থা হয়।’’ 

সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি। 

ঢাকা/লিটন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লক্ষ্মীপুরে মেঘনার ব্লক বাঁধের ১২ স্থানে ধস, আতঙ্কে বাসিন্দারা
  • লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি-জোয়ারে সড়ক বিচ্ছিন্ন, মানুষের দুর্ভোগ