চুমুর দৃশ্য ভাইরাল, অবশেষে মুখ খুললেন উদিত নারায়ণ
Published: 2nd, February 2025 GMT
বিতর্কে জড়ালেন ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী উদিত নারায়ণ। কনসার্ট চলাকালীন নারী ভক্তকে চুমু দিয়ে নিন্দার পাত্র হয়েছেন ৭০ বছরের এই গায়ক। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও দেখে সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। সেই সঙ্গে গায়কের এমন উদ্ভট আচরণে হতাশ তারা।
প্রথমে কেউ বিশ্বাসই করতে চাইছিলেন না, উদিত এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। অনেকে ভেবেছেন, পুরোটাই প্রযুক্তির কারসাজি। পরে যখন স্পষ্ট হয় বিষয়টি, তত ক্ষণে সামাজিক মাধ্যমে নিন্দার ঝড়।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে উদিত নারায়ণ বলেন, ‘এই ঘটনা কয়েক মাস আগের। কেন নতুন করে ভাইরাল করা হল সেটা বুঝতে পারছি না। সম্ভবত কেউ আমাকে কলঙ্কিত করতেই বিষয়টি ঘটিয়েছেন। তবে এতে শাপে বর হয়েছে। উল্টে আমার জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার জবাবে উদিত বলেন, ‘এ ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও এ রকম হয়েছে। ভক্তদের চুম্বন করেছি। সবটাই জনপ্রিয়তার কারণে। অনেকের অনেক রকম আবদার থাকে। পূরণ করি, পূরণ করতে হয়। দর্শক-শ্রোতাদের জন্যই তো আমরা আছি।’
তার কথায়, ‘মঞ্চের আশেপাশে অনেক সময় আমার স্ত্রী দীপা, ছেলে আদিত্য থাকে। সে দিনও আদিত্য মঞ্চে ছিল। ওর সামনেই সব ঘটেছে। তারা তো কিছু মনে করে না। আমার জনপ্রিয়তায় ওরা খুব খুশি।’
ভিডিওতে দেখা গেছে, তরুণী অনুরাগী প্রথমে ফেলফি তোলার অনুরোধ জানান। ছবি তুলে উদিতের গালে চুমু খান। বদলে তরুণীর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেন গায়ক।
বিষয়টি অযথা কুৎসিতভাবে দেখানোর চেষ্টা চলছে বলেন মনে করছেন এই শিল্পী। তার ভাষ্য, আমাদের হাতের পাতায় এভাবে কত ভক্ত চুম্বন করেন। আমরাও করে থাকি। গালেও চুম্বন করা হয়। ঠোঁটে চুমু খাওয়া মানেই কিন্তু খারাপ নয়।’ সূত্র: আনন্দবাজার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।