ঢাকাই সিনেমার নন্দিত নায়ক বাপ্পারাজ। তার ঠোঁটে বিরহ ঘরানার গান আজও দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এসব গানে কষ্টের মাঝে এক ফালি হাসি দিয়ে হাজারো দর্শকের হৃদয় জয় করেছেন তিনি।

রুপালি পর্দায় বাপ্পারাজকে এখন আর দেখা যায় না। দীর্ঘ বিরতির পর ওয়েব সিরিজ ‘রক্তঋণ’ দিয়ে ফিরছেন এই নায়ক। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সিরিজটির একঝলক ফেসবুকে শেয়ার করে ভক্তদের খবরটি জানিয়েছেন বাপ্পারাজ নিজেই।

বাপ্পারাজের পোস্ট করা ‘ক্যারেক্টার টিজার’-এর শুরুতেই দেখা যায়, একটি দরজা খুলে যায়। ভেতর থেকে ভেসে আসে ‘প্রেমের সমাধি’ শিরোনামের গান। পাশে একটি চায়ের কাপ থেকে ধোঁয়া উড়ছে। তার পাশে রাখা পিস্তল।

আরো পড়ুন:

পরিচালকদের সম্মান জানাবেন আলমগীর

ছয় বছর পর অক্ষয়ের সেঞ্চুরি

জানা যায়, তার পরিচয় তিনি সায়েম জোব্বার। পেছন থেকে দেখা যায়, এই সায়েম একটি লেজার লাইট ধরে আছেন সামনের বোর্ডে। সেখানে পত্রিকার খবরগুলো সাঁটানো। পরে সেই পুলিশ কর্মকর্তার কণ্ঠে শোনা যায়, “এই হাফিজ, বন্ধ করো। অনেক তো বিরহ হলো। এবার একটু অ্যাকশন হয়ে যাক।” চমকে দিয়ে সেই জোব্বার চরিত্রে সামনে আসেন বাপ্পারাজ।

‘ক্যারেক্টার টিজার’-এ সংলাপ দেখে বোঝা যায়, ক্রাইম-থ্রিলার কোনো গল্প। যেখানে ঘটনাক্রমে একের পর এক খুন হয় চিকিৎসক। কেন এই রহস্যজনক খুন, তা উদঘাটন করবেন বাপ্পারাজ। এই নায়কের সংলাপে সেটা পরিষ্কার হয়। তাকে বলতে শোনা যায়, “শোন হাফিজ, সব ক্রাইমের একটা হোল থাকে। আমাদের কাজ সেই অপরাধের ফুটোটা বের করা। সবাই পায় না। সবাইকে দিয়ে সব কাজ হয় না হাফিজ।”

ওয়েব সিরিজটির কাজ এখনো চলছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাপ্পারাজ। বেশ কিছু অংশের শুটিংয়েও অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, “এখনো কাজ শেষ হয়নি। কাজ চলছে। আরো কিছু কাজ গুছিয়ে নিই, তখন বিস্তারিত জানাব।”

তরুণ নির্মাতা মোস্তফা খান সিহান ‘রক্তঋণ’ শিরোনামের ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ করছেন। তিনি বলেন, “বিভিন্ন সময় দেখেছি বাপ্পারাজ ভাইয়ের সংলাপ, গল্প নিয়ে প্রচুর মিম তৈরি হয়েছে। কখনো কখনো ট্রলও হয়েছে। বলা হয়েছে, ব্যর্থ প্রেমের নায়ক। বিরহের সিনেমার জন্য তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। তার সেই ভাবমূর্তিকে পাশ কাটিয়ে একদমই থ্রিলার রহস্য গল্পে নিয়ে আসছি। দর্শকদের আমরা রিপ্লাই দিতে চাই বাপ্পারাজের নতুন চরিত্র দিয়ে।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁওয়ে শহিদুল ইসলাম শহিদকে হত্যার মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। এ মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৩১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক গত বুধবার (৩০ জুলাই) আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। 

শনিবার (২ আগস্ট) চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব আহমেদ অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

চবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলার সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা কোনো মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো।

২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় একাধিক পিস্তল, শটগানসহ ভারী অস্ত্র দিয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিলেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

এর আগে নিউ মার্কেট মোড়ে সমাবেশ করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে ষোলশহর মেয়র গলিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসভবনে হামলা চালায়। এর পর বহদ্দারহাট মোড়-সংলগ্ন সাবেক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে হামলা হয়। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হন অটোরিকশাচালক শহিদ। তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শহিদের ভাই শফিকুল ইসলাম চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন— চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী, মহিউদ্দিন বাচ্চু, আবদুচ ছালাম, দিদারুল আলম দিদার, এস এম আল মামুন ও নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হক, নুর মোস্তফা টিনু, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, জিয়াউল হক সুমন ও নুরুল আজিম রনিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আগামী ২৫ আগস্ট বাদীর উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগপত্রে ১২৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৮ জন সাধারণ মানুষ, ৯৯ জন পুলিশ ও ১ জন চিকিৎসক।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ