বলিউডের ‘দেশি গার্ল’ বলা হয় প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে। সেই প্রিয়াঙ্কাই এখন ভারতীয় ছবিতে নেই। সেটা অনেক দিন হয়। এই সময়টাতে হলিউডের দিকে যাত্রা করেন, বিয়ে করেন, মা হন। অনেক দিন ভারতীয় সিনেমায় দেখা না যাওয়া প্রিয়াঙ্কা এবার হাজির হচ্ছেন বলিউডের সেই চিরচেনা অঙ্গনেই। তাও আবার যেনতেন নির্মাতা নন, এস এস রাজামৌলির নতুন সিনেমায় দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। এ সিনেমার জন্য রেকর্ড পরিমাণ পারিশ্রমিকও পাচ্ছেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যম পিংকভিলাকে সিনেমার সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজামৌলির নাম ঠিক না হওয়া সিনেমার জন্য ৩০ কোটি রুপি বা ৪২ কোটি টাকা পাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা! রাজামৌলির অন্য কোনো সিনেমার নায়িকা আগে এত পারিশ্রমিক পাননি। হিন্দি সিনেমার নায়িকাদের যা পারিশ্রমিক হয়, এটা তারও প্রায় দ্বিগুণ। যদিও সিনেমাটিতে কারা অভিনয় করবেন, সেটা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।

বলিউডের সর্বাধিক পারিশ্রমিক পাওয়া নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন, যিনি ১৫ থেকে ২০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন সিনেমা প্রতি, এবার তাঁকে টপকে গেলেন প্রিয়াঙ্কা। 

এর আগে জানা গেছে, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম ব্যয়বহুল ছবিটি উপহার দিতে চলেছেন পরিচালক এস এস রাজামৌলি। তাঁর এই ছবিতে আছেন দক্ষিণি তারকা মহেশ বাবু। ছবির বাজেট ১ হাজার কোটি রুপি! জঙ্গলে অ্যাডভেঞ্চার ঘিরে নির্মিত এ ছবিটি। জানা গেছে, রাজামৌলি তাঁর ‘বাহুবলী’ ছবির মতো এ ছবিটিকেও দুটি পর্বে আনতে চলেছেন।

রাজামৌলি নির্মিত এ সিনেমায় মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এবং আকর্ষণীয় গল্প দেখানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিনেমার শুটিং হবে হায়দরাবাদ ও কেনিয়ার বিভিন্ন লোকেশনে। 

প্রিয়াঙ্কা ও মহেশ ছাড়া সিনেমায় আর কে কে অভিনয় করবেন তা এখনও জানা যায়নি। তবে গুঞ্জন রয়েছে, জন আব্রাহাম তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন।

মহেশ বাবুর এ ছবির প্রথম পর্ব ২০২৭ সালে, আর দ্বিতীয় পর্ব ২০২৯ সালে মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে। ছবির গল্প লেখার কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরের এপ্রিলেই রাজামৌলি এ ছবির শুটিং শুরু করবেন।


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়ার কাছাকাছি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের ‘অত্যন্ত উস্কানিমূলক’ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন ‘যথাযথ অঞ্চলে মোতায়েন’ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

শুক্রবার (১ আগস্ট) ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “ওই মন্তব্য় যদি নেহাতই বোকামি ও উস্কানিমূলক বক্তব্য না হয়ে, তার থেকে বেশি কিছু হয়, তাই আমি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছি।” খবর বিবিসির।

ট্রাম্প আরো লিখেছেন যে, “শব্দগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রভাবও অপ্রত্যাশিত হতে পারে। তবে আশা করি এই বিবৃতি তেমন কিছু ঘটাবে না।” 

আরো পড়ুন:

পুতিনকে এবার ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প

পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প

মার্কিন সামরিক প্রোটোকল মেনে দুটি সাবমেরিন কোথায় মোতায়েন করা হচ্ছে, তা তিনি বলেননি।

একদিন আগেই ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে মস্কোকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এরপরই প্রতিক্রিয়া দেন মেদভেদেভ।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ, যিনি বর্তমানে রাশিয়ান ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান, তার অত্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তব্যের ভিত্তিতে, আমি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিনকে উপযুক্ত অঞ্চলে মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছি।”

ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পারমাণবিক চালিত নাকি পারমাণবিক অস্ত্রধারী সাবমেরিনের মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন, তা খোলাসা করেননি। 

রাশিয়া এবং আমেরিকার কাছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র আছে এবং উভয় দেশেরই পারমাণবিক সাবমেরিনের বহর রয়েছে।

শুক্রবার পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, “একটি হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং আমরা এটিকে উপযুক্ত মনে করিনি। তাই আমাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “আমি মার্কিন জনগণের নিরাপত্তার ভিত্তিতে এটি করেছি। রাশিয়ার একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট হুমকি দিয়েছিলেন। এবং আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করব।”

ক্রেমলিন এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য করেনি, তবে ট্রাম্পের বক্তব্যের পর মস্কোর শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে।

সম্প্রতি ট্রাম্প এবং মেদভেদেভ সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তিগত আক্রমণে জড়িয়ে পড়েছেন।

ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দুই দফায় নতুন করে সময় বেধে দিয়েছেন, তবে যুদ্ধ থামানোর কোনো লক্ষণ পুতিন এখনও দেখাননি।

মেদভেদেভ- যিনি ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন- এই সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘রাশিয়ার সঙ্গে আল্টিমেটাম খেলা’ খেলার অভিযোগ করেছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে মেদভেদেভ বলেছিলেন, “প্রতিটি নতুন আল্টিমেটাম একটি হুমকি এবং যুদ্ধের দিকে একটি পদক্ষেপ।”

এর আগে, তিনি জুলাইয়ের শুরুতে তিনি ট্রাম্পের আল্টিমেটামকে ‘নাটকীয়’ বলে অভিহিত করে বলেছিলেন, “রাশিয়া এসবের পরোয়া করে না।”

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) টেলিগ্রামে একটি পোস্টে মেদভেদেভ ট্রাম্পকে রাশিয়ার ‘ডেড হ্যান্ড’ সম্পর্কে সতর্ক করেন। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘ডেড হ্যান্ড’ হলো রাশিয়ার প্রতিশোধমূলক পারমাণবিক হামলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কোডনাম।

এরপরই শুক্রবার ট্রাম্প মেদভেদেভের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি  মেদভেদেভকে ‘রাশিয়ার ব্যর্থ সাবেক প্রেসিডেন্ট, নিজেকে এখনো প্রেসিডেন্ট বলে ভাবেন’ বলে কটাক্ষ করেন। 

ট্রাম্প মেদভেদেভকে ‘তার কথার দিকে নজর রাখার’ বিষয়ে সতর্কও করে বলেন, “তিনি খুব বিপজ্জনক অঞ্চলে প্রবেশ করছেন!”

মেদভেদেভ ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আক্রমণকে সমর্থন করেন এবং পশ্চিমাদের একজন স্পষ্ট সমালোচক।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাশিয়ার কাছাকাছি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের