‘দাবির মুখে সরকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবে না’
Published: 2nd, February 2025 GMT
আল্টিমেটাম বা সময় বেঁধে দিয়ে কখনো বিশ্ববিদ্যালয় হয় না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা দাবি-দাওয়ার জন্য আসিনি। একটা সুশাসন ও সংস্কারের জন্য এসেছি। দাবির মুখে সরকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবে না।’’
রবিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড.
তিনি বলেন, ‘‘সাত কলেজ নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার কাজ চলছে, তাতে তিতুমীর কলেজও থাকবে। তবে কাউকে যদি বিশেষ বিবেচনা করি, সেটা হবে রাজশাহী কলেজ। কারণ রাজশাহী কলেজ অনেক পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘ছাত্ররা আন্দোলন করে ভালো। তবে তাদের পরীক্ষা দিতে হবে। কর্মসূচি যদি দিতেই হয়, শিক্ষা কার্যক্রম ও জনদুর্ভোগ করে এমন আন্দোলন করা ঠিক নয়।’’
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সাত কলেজকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে তৈরির জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কাজ করছেন। দেশের মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অর্ধেকই গঠিত হয়েছে সবশেষ সাত বছরে, যা বিশ্বে এক অনন্য রেকর্ড। আন্দোলন করা ভালো, কিন্তু পরীক্ষাও তো দিতে হবে। যারা নিয়মিত ক্লাস করতে চায় এবং জনদুর্ভোগ যেন না হয়, সেদিকে নজর রেখে কর্মসূচি দেওয়া উচিত।’’
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তানজানিয়ায় বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ, আগুনে পুড়ে প্রাণ গেল ৩৮ জনের
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় বাস ও মাইক্রোবাসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুটি গাড়িতেই আগুন ধরে যায়। এতে আগুনে পুড়ে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গত শনিবার সন্ধ্যায় তানজানিয়ার কিলিমানজারো অঞ্চলের সাবাসাবা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসের একটি চাকার টায়ার ফেটে যাওয়ায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, আর তখনই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গতকাল রোববার তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘মোট ৩৮ জন এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন নারী। পুড়ে যাওয়ার মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে, ৩৬ জনের মরদেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি।’
নিহতরা কোন দেশি বা তাদের জাতীয়তা কী, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় ২৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়।
দেশটির প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। তিনি বলেছেন, তানজানিয়ার সড়কে প্রায়ই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। তাই সবাইকে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর হতে হবে।
গত কয়েক বছরে দেশটির সরকার একাধিকবার সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে তারপরও সড়কে প্রাণহানির ঘটনা থামেনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে তানজানিয়ায় ১৩ হাজার থেকে ১৯ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। অথচ দেশটির সরকারি হিসেবে সে বছর নিহতের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২৫৬ জন।