রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কার্যক্রম শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় কলেজের প্রধান ফটক থেকে মহাখালীর আমতলী পর্যন্ত ব্লকেড করেন তারা।

গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৮টার দিকে তিতুমীর কলেজের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্ব ঘোষিত ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

এ সময় কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আজ শিক্ষা উপদেষ্টার বার্তাকে আমরা প্রত্যাখান করলাম। আমাদের আন্দোলন ও অনশন চলছে, চলবে “

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের যদি বিশেষভাবে বিবেচনা করা না হয়, তাহলে কেন গত ১৮ নভেম্বর থেকে আমাদের বিভিন্ন আশ্বাস দেওয়া হলো? গত বৃহস্পতিবার কেন রাষ্ট্রের প্রতিনিধি আমাদের কাছে এসে বলল, আমাদের দাবী যৌক্তিক? রাষ্ট্রের এসব চক্রান্ত আমাদের দমাতে পারবে না।”

এদিকে, রবিবার বিকেলে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিউদ্দীন মাহমুদ তার এক বক্তব্যে বলেছেন, “সাত কলেজকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় দেওয়ার জন্য একটি কমিটি কাজ করছে ৷ এখানে তিতুমীরকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই।”

ঢাকা/হাফছা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ