দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’
Published: 2nd, February 2025 GMT
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কার্যক্রম শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় কলেজের প্রধান ফটক থেকে মহাখালীর আমতলী পর্যন্ত ব্লকেড করেন তারা।
গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৮টার দিকে তিতুমীর কলেজের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্ব ঘোষিত ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
এ সময় কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আজ শিক্ষা উপদেষ্টার বার্তাকে আমরা প্রত্যাখান করলাম। আমাদের আন্দোলন ও অনশন চলছে, চলবে “
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের যদি বিশেষভাবে বিবেচনা করা না হয়, তাহলে কেন গত ১৮ নভেম্বর থেকে আমাদের বিভিন্ন আশ্বাস দেওয়া হলো? গত বৃহস্পতিবার কেন রাষ্ট্রের প্রতিনিধি আমাদের কাছে এসে বলল, আমাদের দাবী যৌক্তিক? রাষ্ট্রের এসব চক্রান্ত আমাদের দমাতে পারবে না।”
এদিকে, রবিবার বিকেলে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিউদ্দীন মাহমুদ তার এক বক্তব্যে বলেছেন, “সাত কলেজকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় দেওয়ার জন্য একটি কমিটি কাজ করছে ৷ এখানে তিতুমীরকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই।”
ঢাকা/হাফছা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাইব্যুনালে গুমের মামলা তদন্ত, বিচারে সহযোগিতা করবে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক গ্রুপ: চিফ প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হওয়া গুমের মামলার তদন্তের পাশাপাশি বিচারে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা করবে। আজ সোমবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (ডব্লিউজিইআইডি)-এর ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা ও আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। এই দুজন ও ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খানসহ জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি আজ দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পরে এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের গুমের কেসগুলোকে কীভাবে আমরা ডিল করছি এবং এই কেসের যে তদন্ত, বিচার কোন পর্যায়ে আছে; কী কী চ্যালেঞ্জ আমরা ফেস করছি, এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য কী কী ধরনের সাপোর্ট দরকার, তাঁরা কী ধরনের সাপোর্ট আমাদের দিতে পারেন, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বিচার অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা করতে এই কমিটি প্রস্তুত আছে এবং তাঁরা এটা করবেন।’
গুমের শিকার, এমন ভুক্তভোগীরা সাক্ষী দিতে এসে যাতে বিপদে না পড়েন, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তাঁরা বলেছেন, যত ধরনের সাহায্য লাগবে, তাঁরা করবেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিশেষ করে সাক্ষী সুরক্ষার ব্যাপারটা। এ ব্যাপারে আইন আছে, কিন্তু তা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক ভুক্তভোগী আছেন, তাঁদের হয়তো এমন নিরাপত্তার সংকট আছে, তাঁদের হয়তো এক জায়গা থেকে সরিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হতে পারে। সেটা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে করা কঠিন। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের যদি সহযোগিতা পাওয়া যায়, তাহলে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের জন্য কাজ করা সহজ হবে।