বন্দরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে তান্ডবের ঘটনার ৩দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ
Published: 2nd, February 2025 GMT
বন্দরে কাঁচামাল ব্যবসায়ী শুক্কুর আলীর বাড়িতে মাদক সন্ত্রাসী দুলাল, রানা, দিপু, নান্টু ও মাইচ্ছা স্বপন বাহিনী হামলা,ভাংচুর,তান্ডব ও লুটপাটের ঘটনায় এখনো মামলা নেয়নি পুলিশ। রোববার লৌমহর্ষক এ ঘটনার ৩দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ নিরীহ শুক্কুর দম্পতির মামলা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করছে।
এদিকে ৩দিনেও মামলা না নেয়ায় সন্ত্রাসীরা দীঘলদী এলাকায় প্রতিনিয়তই অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। এ কারণে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ভয়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে শুক্কুর আলীর স্ত্রী সালমা বেগম জানান,দেশে এখন কোন রাজনৈতিক সরকার নেই অথচ তারপরও আমরা আইনের সহযোগিতা পাচ্ছি না।
সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাংচুর লুটপাট চালিয়ে গেল অথচ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালণ করছে। প্রশাসনের গুরুত্ব না থাকায় সন্ত্রাসীরা আমাকে এবং আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনের উচ্চ মহলসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া উচিত। নইলে এই পরিস্থিতিতে আমরা কোথায় যাবো।
ঘটনার বর্ননা দিয়ে তিনি বলেন, বাসার গেইটের দরজা দিয়ে খেয়াল করে দেখি বিবাদীগন প্রত্যেকে ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র সজ্জিত হইয়া বাসার বাহিরে অবস্থান নিয়ে আছে। আমি হামলাকারীদের দেখে ভয় পেয়ে আমার স্বামী মোঃ শুকুর আলীকে বাসার পিছন দিয়ে দেয়াল টপকিয়ে যেতে বলি।
বাসা থেকে অন্যত্র সরে যাওয়ার সময় হামলাকারীরা আমার স্বামীকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে এবং দুলালের নেতৃতে অন্যান্য অস্ত্রধারীরা আমার স্বামী মোঃ শুকুর আলীকে হত্যা করার জন্য এবং তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
তখন আমার স্বামী এবং আমার ডাক চিৎকারে পুরো এলাকাবাসী জড়ো হয়ে আমাদের বাড়ীর পিছনে থেকে আমার স্বামীকে হামলাকারীদের নিকট হইতে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর তোপের মুখে আমাদেরকে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শুকুর আলীর স্ত্রী সালমা আরও জানান হামলাকারীরা যাওয়ার সময় ৫ ভরি সোনা,৩০ ভরি রূপা,নগদ ৮০ হাজার টাকা, ৪টা সিসি ক্যামেরা,৪০ ইঞ্চি টিভি, বৈদ্যুতিক চুলা,গ্যাসের চুলা,ওভেন,১০টা মুরগীসহ দামী জামাকাপড় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সালমা (৪০) বাদী হয়ে বন্দর থানায় গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) অভিযোগ দায়ের করলেও আসামীদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ বা মামলাও নিচ্ছে না।
ভুক্তভোগী সালমা গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক সঠিক বিচার দাবি করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ ক র আল
এছাড়াও পড়ুন:
কোহলি জানালেন, তাঁর ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলেছিল যে আইপিএল–সতীর্থ
২০০৮ সালে তাঁর আইপিএল অভিষেক। আইপিএলের শুরুর মৌসুমে ভারতের টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিকে দলে ভিড়িয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ১৯ বছর।
১৭ বছর আগের স্মৃতি হাতড়ে কোহলির মনে পড়ছে, আইপিএলে শুরুর দিনগুলোতে কোন সতীর্থ তাঁর ব্যাটিংয়ের ওপর প্রভাব ফেলেছিলেন।
বেঙ্গালুরুর এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক পডকাস্ট ভিডিওতে কোহলি কথা বলেছেন আইপিএলে নিজের শুরুর সময় নিয়ে। সেই ভিডিওতে তিনি মায়ন্তি ল্যাঙ্গারকে বলেছেন সাবেক আইপিএল সতীর্থ দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচারের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবং উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান কীভাবে তাঁর ব্যাটিংয়ে প্রভাব রেখেছিলেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কোহলি।
মার্ক বাউচার