বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদ্যের কমিটি ঘোষণা করায় জেলা জুড়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। জেলার বিভিন্ন থানায় আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। 

কমিটি ঘোষণার পর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় অধ্যাপক মামুন মাহমুদের বাস ভবনে এসে ফুলের তোরা দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। নেতাকর্মীদের ফুলে ফুলে সিক্ত হোন মামুন মাহমুদ। 

দলীয় সূত্র জানায়,অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক, মুস্তাফিজুর রহমান দীপু ভূঁইয়া ১ নং য়ুগ্ন আহ্বায়ক, মাশেকুল ইসলাম রাজীব ও শরীফ আহম্মেদ টুটুল যুগ্ন আহ্বায়ক এবং মো.

গিয়াস উদ্দিনকে সদস্য করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গঠন নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে কমিটি গঠনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা, সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ, বন্দর, আড়াইহাজার থানা এলাকার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। তারা তাৎক্ষনিক আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন।

জেলার বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অধ্যাপক মামুন মাহমুদের বাস ভবনে এসে ফুল দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। 

নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি সোহেল রহমান জানান, ১৯৮২ সালে বিএনপির চিটাগং রোড আঞ্চলিক কমিটির মাধ্যমে মামুন মাহমুদের রাজনীতি শুরু। 

এর পর থেকে বিএনপির রাজনীতিতে দিন দিন তিনি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেন। দায়ীত্ব পান সিদ্ধিরগঞ্জ  থানা ছাত্র দলের সভাপতি ও থানা যুব দলের সভাপতি, জেলা যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক, জেলা যুব দলের সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুব দলের সহ-ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব,  জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক (স্বাক্ষর ক্ষমতাসহ), সর্বশেষ হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক।

তিনি পেশায় কলেজ শিক্ষক। বর্তমানে তিনি সোনারগাঁও ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন।  তার রাজনৈতিক জীবনে প্রথম গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন ১৯৯৭ সালে। গত ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৫ বছরে অসংখ্যবার তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন।  

তার বিরুদ্ধে ৫০ টির বেশি মিথ্যা মামলা হয়। তবু তিনি সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে সবসময় রাজপথে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি একজন ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান নেতা হিসেবে সকলের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র ন ত কর ম র স দ ধ রগঞ জ ব এনপ র স র র জন ত য ব দল র র সদস য আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

জেলা প্রশাসককে ২৪’র শহীদদের স্মারক দিল জামায়াত

জেলা প্রশাসকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তার হাতে ২৪ এর জুলাই -আগস্ট আন্দোলনে শহীদদের স্মারক গ্রন্থসহ শহীদদের তথ্য ভিত্তিক ডকুমেন্টারি স্বারক দিলেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জামায়াত নেতৃবন্দ এ স্বারক তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী শাখার আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার। অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা  আমীর জনাব মমিনুল হক সরকার, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, এডভোকেট জাহাঙ্গীর দেওয়ান, এডভোকেট নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২৪ এর জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হাসিনা সরকারের নির্বিচারে ছাত্র- জনতার উপর হামলার ঘটনায় প্রায় ১৮ শত শাহাদাৎ বরণ করে, জামায়াত সেই সকল শহীদদের নিয়ে স্বারক গ্রন্থ তৈরী করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অটোরিকশার ধাক্কায় ছিটকে বাসের নিচে, দুই বন্ধু নিহত
  • আজমির ওসমান বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার মাসুম প্রকাশ্যে. আতঙ্ক
  • মে দিবসের সমাবেশকে সফল করতে মহানগর বিএনপির মতবিনিময় সভা 
  • নারায়ণগঞ্জে বালক (অনূর্ধ্ব-১৫) ফুটবল প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
  • শারীরিক শাস্তি শিশুর বিকাশে বড় বাধা, বিলোপ জরুরি
  • নারায়ণগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে তরুণের মৃত্যু
  • ‘ভারতকে থামান’, জাতিসংঘকে শাহবাজ শরিফ
  • নারায়ণগঞ্জের কদম রসুল সেতুর সংযোগ সড়কের প্রবেশমুখ পুনর্নির্ধারণের দাবিতে স্মারকলিপি
  • রাজনৈতিক দলের সমর্থন ছাড়া প্রক্সি ভোট বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়: সিইসি 
  • জেলা প্রশাসককে ২৪’র শহীদদের স্মারক দিল জামায়াত