মামুন মাহমুদ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হওয়ায় নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ
Published: 2nd, February 2025 GMT
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদ্যের কমিটি ঘোষণা করায় জেলা জুড়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। জেলার বিভিন্ন থানায় আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
কমিটি ঘোষণার পর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় অধ্যাপক মামুন মাহমুদের বাস ভবনে এসে ফুলের তোরা দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। নেতাকর্মীদের ফুলে ফুলে সিক্ত হোন মামুন মাহমুদ।
দলীয় সূত্র জানায়,অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক, মুস্তাফিজুর রহমান দীপু ভূঁইয়া ১ নং য়ুগ্ন আহ্বায়ক, মাশেকুল ইসলাম রাজীব ও শরীফ আহম্মেদ টুটুল যুগ্ন আহ্বায়ক এবং মো.
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গঠন নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে কমিটি গঠনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা, সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ, বন্দর, আড়াইহাজার থানা এলাকার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। তারা তাৎক্ষনিক আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন।
জেলার বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অধ্যাপক মামুন মাহমুদের বাস ভবনে এসে ফুল দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি সোহেল রহমান জানান, ১৯৮২ সালে বিএনপির চিটাগং রোড আঞ্চলিক কমিটির মাধ্যমে মামুন মাহমুদের রাজনীতি শুরু।
এর পর থেকে বিএনপির রাজনীতিতে দিন দিন তিনি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেন। দায়ীত্ব পান সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্র দলের সভাপতি ও থানা যুব দলের সভাপতি, জেলা যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক, জেলা যুব দলের সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুব দলের সহ-ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক (স্বাক্ষর ক্ষমতাসহ), সর্বশেষ হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক।
তিনি পেশায় কলেজ শিক্ষক। বর্তমানে তিনি সোনারগাঁও ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন। তার রাজনৈতিক জীবনে প্রথম গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন ১৯৯৭ সালে। গত ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৫ বছরে অসংখ্যবার তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন।
তার বিরুদ্ধে ৫০ টির বেশি মিথ্যা মামলা হয়। তবু তিনি সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে সবসময় রাজপথে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি একজন ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান নেতা হিসেবে সকলের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র ন ত কর ম র স দ ধ রগঞ জ ব এনপ র স র র জন ত য ব দল র র সদস য আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করি নির্বাচন এলেই একটি রাজনৈতিক দল তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়।
যারা ফিৎনা তৈরি করে বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের কাছ থেকে আমাদেরকে সাবধান হতে হবে। রাজনৈতিক কারণে কেউ বক্তব্য দিতেই পারে, সেটাকে স্বাগত জানাই।
তবে কেউ যেন আমাদের দ্বীনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আজমতে সাহাবা মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে বয়ান করার যোগ্যতা আমার নেই। আমি এখানে এসেছি বিশিষ্ট আলেম যারা এখানে এসেছেন তাদের বক্তব্য শোনার জন্য। যারা ইসলামকে নিয়ে রাজনীতি করেনা তারা এখানে আছে।
যারা দীনকে আগে এবং দুনিয়াকে পরে মনে করেন, তারাই এখানে আছেন। একারণে আমি এখানে এসেছি। বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। আমরা মদিনার ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা আমাদের নবীর (সাঃ) ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা মওদুদির ইসলামে বিশ্বাস করি না।
তিনি বলেন, হাসিনার সরকার ইসলাম বিদ্বেষী ছিল, মুসলিম বিদ্বেষী ছিল। তারা আলেমদের নির্যাতন করেছে। আল্লাহর হুকুমে কীভাবে তাদের রাজনীতির অবসান হয়েছে আমরা তার সাক্ষী।
আমরা যেন এমন ভাবে রাজনীতি করি যার মাধ্যমে আওয়ামী অপরাজনীতি বিলুপ্ত হয়। বাংলাদেশে আদর্শিক রাজনীতি কয়েম করবো আমরা।
জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির জুনায়েদ আল হাবীব আল, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানসহ হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।