গ্র্যামির রেড কার্পেটে গায়কের স্ত্রী নগ্ন, নেট দুনিয়ায় তোলপাড়
Published: 3rd, February 2025 GMT
গতকাল রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টোডটকম অ্যারেনায় বসেছিল বিশ্ব সংগীতের অন্যতম সম্মানসূচক পুরস্কার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের ৬৭তম আসর। জাঁকজমকপূর্ণ এই আসরের রেড কার্পেটে নগ্ন হয়ে ক্যামেরায় পোজ দিয়ে বিশ্ব মিডিয়ার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন বিতর্কিত মার্কিন র্যাপার কানইয়ে ওয়েস্টের স্ত্রী বিয়াঙ্কা সেন্সরি।
ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বেস্ট র্যাপ সং বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন কানইয়ে ওয়েস্ট। গতকাল স্ত্রী বিয়াঙ্কা সেন্সরিকে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন। সেসময়ে ৩০ বছরের বিয়াঙ্কার পরনে কালো রঙের পোশাক ছিল।
কালো রঙের কোট পরেই রেড কার্পেটে পা রাখেন বিয়াঙ্কা। হঠাৎ পোশাক খুলে ফেলেন তিনি। এসময় তার পাশেই ছিলেন কানইয়ে। আত্মবিশ্বাসী বিয়াঙ্কা ক্যামেরার সামনে শরীর প্রদর্শন করেন। এই ফ্যাশন ডিজাইনারের কর্মকাণ্ড দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন উপস্থিতি অতিথিরা।
আরো পড়ুন:
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতলেন যারা
গায়িকা-অভিনেত্রী মারিয়ান ফেইথফুল আর নেই
জানা যায়, এ ঘটনার পর পুলিশ কানইয়ে-বিয়াঙ্কাকে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের করে দেয়। আবার কোনো কোনো প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্টান্টবাজি করে নিজেরাই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা। এ বিষয়ে কথা বলতে কানইয়ের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেও মন্তব্য পায়নি ডেইলি মেইল।
বিয়াঙ্কার এমন কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কড়া ভাষায় সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। একজন লেখেন, “এই লোকের (কানইয়ে) কাছ থেকে বিয়াঙ্কাকে রক্ষা করা উচিত। সত্যি এটা বিরক্তিকর।” আরেকজন লেখেন, “এটা হতবাক হওয়ার মতো ঘটনা। একই সঙ্গে এটি খুবই দুঃখজনকও। কেউ মেয়েটির মগজ ধোলাই করেছে।”
গত বছরের অক্টোবরে মার্কিন র্যাপার কানইয়ে ওয়েস্টের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন স্ত্রী বিয়াঙ্কা সেন্সরি। তার অভিযোগ, শাশুড়ি আলেকজান্দ্রা সেন্সরির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে চেয়েছিলেন ৪৭ বছরের এই গায়ক।
এ আলোচনায় ভাটা পড়ার আগেই বিতর্কিত র্যাপার কানইয়ে ওয়েস্ট স্ত্রী বিয়াঙ্কা সেন্সরির ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে সমালোচনার মুখে পড়েন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’