সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক কারাগারে মারা গেছেন। এই কথা কারাগারে বসে মানিক নিজেই শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তিনি এ কথা বলেন। 

এদিন সকাল সোয়া ৯ টায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.

এম. ফারহান ইসতিয়াকের আদালতে তোলা হয়। পরে বাড্ডা থানার অটোরিকশাচালক হাফিজুল শিকদার হত্যা মামলায় তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। শুনানি শেষে ১০ টা ১৫ মিনিটের দিকে তাকে আদালত থেকে বের করে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিলো। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি মারা যাওয়ার কথা শুনেছেন কি না? উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাঁ, শুনেছি৷ পরে পুলিশ প্রহরায় আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন অটো রিকশাচালক হাফিজুল শিকদার। ওইদিন বিকেল ৩ টায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ ঘটনায় তার পরিবার গত ২১ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন।

ঢাকা/মামুন/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ