গ্র্যামিতে র্যাপার লামারের বাজিমাত
Published: 3rd, February 2025 GMT
বিশ্ব সংগীতের সবচেয়ে বড় পুরস্কারের আসর ৬৭তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। এবার এই আসরের পুরস্কারের জন্য ১১ শাখায় মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিয়ন্সে। তবে পুরস্কারের দিন বিয়ন্সে কারিশমা দেখাতে পারেনি। ‘অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার’ এবং সেরা ‘কান্ট্রি অ্যালবামের’ দুই পুরস্কার নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে।
তবে তবে বিয়ন্সে রেকর্ড করেছেন ‘বেস্ট কান্ট্রি অ্যালবাম’ শাখায় পুরস্কার পেয়ে। আর এর মধ্য দিয়ে এই প্রথমবার কোনো কৃষাঙ্গ নারী সংগীতশিল্পী হিসেবে ‘বেস্ট কান্ট্রি অ্যালবামের’ পুরস্কার জিতলেন তিনি।
পুরস্কার প্রাপ্তিতে বিয়ন্সেকে ছাড়িয়ে শীর্ষস্থান নিয়েছেন গায়ক কেনড্রিক লামার। যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ এই র্যাপার ‘নট লাইক আস’ গানের জন্য ‘রেকর্ড অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জিতেছেন। একই গানের জন্য লামারের ঝুড়িতে গেছে ‘সং অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারও।
সব মিলিয়ে এবারের গ্র্যামিতে সর্বোচ্চ পাঁচ পুরস্কার জিতে নিয়েছেন লামার।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টোডটকম অ্যারিনায় যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় জমকালো ওই আসর বসে। এবারের গ্র্যামি সঞ্চালনা করেছেন কমেডিয়ান ট্রেভর নোয়া।
‘রেকর্ড অব দ্য ইয়ার’, ‘বেস্ট র্যাপ পারফরমেন্স’, ‘বেস্ট র্যাপ সং’, ‘বেস্ট মিউজিক ভিডিও’, এবং ‘সং অব দ্য ইয়ারের’ পুরস্কার হাতে নিয়ে লামার হাতে বলেন ‘দারুণ, ভালো লাগছে, আবার কেমন লাগছে বলতে পারছি না ঠিক করে’।
দুহাতে পাঁচটি গ্র্যামির ট্রফি আগলে ধরে তিনি বলেন, “এই পুরস্কার আমার আগুনে পোড়া শহরটির জন্য।”
গ্র্যামির গুরুত্বপূর্ণ তিন শাখার পুরস্কার ‘সং অব দ্য ইয়ার’, ‘অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার’, ‘রেকর্ড অব দ্য ইয়ার’ এর মধ্যে একটি কেবল বিয়ন্সের দখলে থাকল।
তবে দেড় দশক আগে যুক্তরাষ্ট্রের গায়িকা টেইলর সুইফট তার সহশিল্পী বিয়ন্সেকে পরাজিত করে ‘অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার’ জিতে নিয়েছিলেন গ্র্যামির আসরে, এবার ওই গায়িকা বিয়ন্সের হাতেই এই শাখার পুরস্কার তুলে দিলেন সুইফট।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’