বিয়ের দু’দিন আগে নিখোঁজ তরুণ, কবরস্থানে গাছে ঝুলছিল মরদেহ
Published: 3rd, February 2025 GMT
জয়পুরহাটে বিয়ের দু’দিন আগে নিখোঁজ হওয়া মাহমুদুল হাসান পিয়াস (২৮) নামে এক তরুণের মরদেহ সতীঘাটা এলাকার একটি কবরস্থান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার স্থানীয় লোকজন ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত মাহমুদুল হাসান পিয়াস জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমানের ছেলে। তিনি জেলা শহরে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। শহরের জানিয়ার বাগান মহল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।
পুলিশ, পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার মাহমুদুল হাসান পিয়াসের বিয়ের দিন ধার্য করা ছিল। এর দু’দিন আগে গত ২৯ জানুয়ারি সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তাঁর ভাই মেসবাহুর গত ৩০ জানুয়ারি সদর থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করেন।
রোববার বিকেলে সতীঘাটা এলাকায় কবরস্থান-সংলগ্ন একটি গাছে পিয়াসের মরদেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত পিপাসের বন্ধু শুভ হোসেন জানান, তাঁর বন্ধু বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শুক্রবার বিয়ের জন্য তিনি কমিউনিটি সেন্টারের অগ্রিম ভাড়াও পরিশোধ করেন। হঠাৎ করে নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। একই অভিযোগ করেন তরুণের ভাই মাহবুবুর রহমান।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম।
অভিযোগকারীর আইনজীবী নাজিম উদ্দীন আহমেদ পান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্তরা তার (সুমা) শ্বশুরবাড়ির পাকা কবরস্থান ভাঙচুর করে ও দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বাদী জরুরি সেবা ৯৯৯- এ কল করলে থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তবে নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগী সুমা বেগমসহ মামলার তিনজন সাক্ষীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ওসি এবং এসআই আটককৃতদের ছেড়ে দিতে সুমা বেগমের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিকে অপরাগতা প্রকাশ করায় মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন ওসি এবং এসআই। ওইদিন রাত নয়টার পর থানা হেফাজত থেকে বাদী ও মামলার তিনজন সাক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি এবং এসআই মামলার বাদী ও তিন সাক্ষীকে দীর্ঘসময় থানায় আটকে রাখার সুযোগে দুর্বৃত্তরা কবরস্থান ভাঙচুর করে দখল করতে পেরেছে। বাদীর দায়ের করা এজাহার থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এ ঘটনায় বাদী সুমা বেগম গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘ঘুষ দাবির কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। একটি কু-চক্রী মহলের প্ররোচনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।