চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে এক যুবদল নেতার হামলায় জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস নামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ সোমবার অভিযুক্ত যুবদল নেতা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকতার রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আজ যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইকতারকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে জীবননগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকতার রহমানকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ইকতারের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখতে বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।  

আহত চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস বলেন, শনিবার স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চেম্বার শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ কোয়ার্টারে ফিরছিলেন তিনি। রাত ১১টা ৩৭ মিনিটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে পৌঁছালে মোটরসাইকেলযোগে সেখানে এসে তাঁকে মারধর শুরু করেন পৌর যুবদল নেতা ইকতার। টর্চলাইট দিয়ে উপর্যুপরি তার মুখে আঘাত করেন ওই যুবদল নেতা। এতে তার মুখে রক্তজমাট বেঁধে ফুলে যায়। 
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.

মকবুল হাসান জানান, হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী চিকিৎসক বাদী হয়ে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। 
 
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাঁকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ঘটনাটি জেলা পুলিশ সুপার, জীবননগর উপজেলা ইউএনও ও সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে জানানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য বদল ন ত স ব স থ য কমপ ল ক স য বদল ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের ৭২০ সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করার দাবি ইসরায়েলের

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তেহরানে অন্তত ৮০টি লক্ষ্যবস্তুতে রাতভর হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় ডজনখানেক ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে টানা তৃতীয় দিনে এ হামলা চালানো হলো। খবর বিবিসির

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর, সামরিক গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা বলে দাবি করা হয়েছে।

রয়টার্স এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল দুটি ‘দ্বৈত-ব্যবহারের’ জ্বালানি কেন্দ্র। ওই জ্বালানি কেন্দ্র সামরিক ও পারমাণবিক কাজে ব্যবহার করা হতো।

আইডিএফ আরও জানিয়েছে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর অংশ হিসেবে তিন দিনের কম সময়ের মধ্যে তারা ইরানের ১৭০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ইরানের ৭২০টির মতো সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ