চিকিৎসককে টর্চলাইট দিয়ে পিটুনি, যুবদল নেতা বহিষ্কার
Published: 3rd, February 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে এক যুবদল নেতার হামলায় জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস নামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ সোমবার অভিযুক্ত যুবদল নেতা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকতার রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইকতারকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে জীবননগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকতার রহমানকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ইকতারের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখতে বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আহত চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস বলেন, শনিবার স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চেম্বার শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ কোয়ার্টারে ফিরছিলেন তিনি। রাত ১১টা ৩৭ মিনিটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে পৌঁছালে মোটরসাইকেলযোগে সেখানে এসে তাঁকে মারধর শুরু করেন পৌর যুবদল নেতা ইকতার। টর্চলাইট দিয়ে উপর্যুপরি তার মুখে আঘাত করেন ওই যুবদল নেতা। এতে তার মুখে রক্তজমাট বেঁধে ফুলে যায়।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাঁকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ঘটনাটি জেলা পুলিশ সুপার, জীবননগর উপজেলা ইউএনও ও সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে জানানো হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য বদল ন ত স ব স থ য কমপ ল ক স য বদল ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে চিকিৎসকের লাথি মারার ভিডিও ভাইরাল, তদন্তে কমিটি
হাসপাতালে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁদের পাশে আরও কয়েকজন লোক দাঁড়িয়ে। দুজনের বাগ্বিতণ্ডায় এক পর্যায়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এ সময় ওই চিকিৎসককে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন আরেকজন। তখন চিকিৎসকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ানো ব্যক্তি কিছু একটা বলেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে লাথি দিয়ে বসেন ওই চিকিৎসক।
এমন একটি ভিডিও গতকাল রোববার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভিডিওটির ঘটনাস্থল সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচতলার ৩১ নম্বর ওয়ার্ড। গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে জুবায়ের আহমদ (২২) নামের এক রোগীকে নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত। সুনামগঞ্জের গোবিন্দগঞ্জের কলাগাঁও এলাকার বাসিন্দা জুবায়ের শুক্রবার থেকে পেটের নিচে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গতকাল দুপুরে জুবায়েরের পাশে তাঁর বন্ধু মিজান আহমদ (২২) ছিলেন। মিজানের সঙ্গেই তন্ময় দেবনাথ নামের ওই চিকিৎসকের বাগ্বিতণ্ডা এবং লাথি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তন্ময় দেবনাথ নামের ওই চিকিৎসক স্নাতকোত্তর ‘ফেজ-বি’–এর আবাসিক শিক্ষার্থী। রোগীর স্বজনের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে কোনো কথার জেরে মেজাজ হারিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। রোববারের ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুবায়েরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিজান আহমদ ওই চিকিৎসককে ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। পরে মিজানকে ডেকে নিয়ে ব্যবহার ঠিক করার কথা বলেছেন ওই চিকিৎসক। একপর্যায়ে চিকিৎসকের সঙ্গে মিজানের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এতে ওই চিকিৎসক লাথি দিয়েছেন।
জুবায়ের জানান, তিনি বাড়িতে কৃষিকাজ করেন। তাঁর বন্ধু মিজান আহমদ তাঁদের পার্শ্ববর্তী আনন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা। মিজান মিস্ত্রির কাজ করেন। ওই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বিষয়টি জানার জন্য তাঁর কাছে গিয়েছিলেন। জুবায়ের এখন অনেকটা সুস্থ আছেন চিকিৎসকেরা তাঁকে আজ–কালকের মধ্যেই ছাড়পত্র দিয়ে দেবেন বলে জানান তিনি।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ওই চিকিৎসককে আপাতত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।