২০ উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দিল এইচ বি এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম ইন্সটিটিউট
Published: 3rd, February 2025 GMT
২০ উদ্যোক্তাকে সম্মাননা প্রদান করেছে এইচ বি এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম ইন্সটিটিউট। শুক্রবার রাজধানীর পর্যটন কর্পোরেশন ভবনের অডিটোরিয়ামে ‘৮ম এইচ বি সার্টিফিকেট অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ড সেরেমনিতে’ এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময় ২০০ শিক্ষার্থীকে সার্টিফিকেটও প্রদান করা হয়।
এছাড়া ৮ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে ৮ জন এতিম শিশুকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। তাদের জন্য অনুদান ও উপহারসহ, এইচ বি এভিয়েশন ও স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের যৌথ উদ্দ্যোগে ‘কিডস স্পেস ক্যাম্প’ এ ট্রেনিংয়ের সুযোগ করে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এইচ বি এভিয়েশনের ফাউন্ডার এন্ড চেয়ারম্যান যাকি এস বারী। তিনি বলেন,‘এইচ বি এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম ইন্সটিটিউট গত ৭ বছর ধরে এভিয়েশন ও ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম সেক্টর এ উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি করে আসছে। এইচ বি এভিয়েশন শুধুমাত্র ট্রেনিং ই প্রদান করছেনা, ট্রেনিং শেষে শিক্ষার্থীদের চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করছে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন সেইবার বাংলাদেশের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার ও সিইও সাইফুল হক, বাংলাদেশ বেতারের ডিরেক্টর জেনারেল এ এস এম জাহিদ, স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের প্রেসিডেন্ট আরিফুল হাসান অপু, বিভিন্ন এয়ারলাইনস ও জিডিএসের জেনারেল ম্যানেজার এবং ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য এইচ বি এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম ইন্সটিটিউট ২০১৮ সাল থেকে এয়ারটিকেটিং প্রফেশন এর উপর ট্রেনিং প্রদান করে আসছে। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটে এর শাখা রয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এইচ ব
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’