তাড়াশ উপজেলা সদরের তাড়াশ ঈদগাহ মাঠে রোববার ঐতিহ্যবাহী দইমেলা শুরু হয়েছে। প্রতিবছর মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে এ মেলার আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের ভাষ্য, আড়াইশ বছর ধরে এই মেলা হয়ে আসছে।
দিনব্যাপী এই মেলায় এসেছেন বগুড়া, শেরপুর, রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা, ঘুড়কা, পাবনার চাটমোহরের হান্ডিয়াল, নাটোরের গুরুদাসপুরের শ্রীপুর, উল্লাপাড়ার ধরইলের দই বিক্রেতারা। মেলায় ক্ষীরশা দই, শাহি দই, টক দই, ডায়াবেটিক দই, স্পেশাল দই, প্রিমিয়ামসহ হরেক রকম দই বিক্রি করা হয়। দইয়ের পাশাপাশি মুড়ি, মুড়কি, আমন, আউশ ধানের চিড়া, মোয়া, বাতাসা, কদমা, খাগরাই, খেজুরের গুড়সহ নানা ধরনের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা, সিরাজগঞ্জ শীর্ষক বইয়ে তাড়াশের এ দইমেলার বর্ণনা রয়েছে। বলা হয়েছে, জমিদার আমলে মেলায় ৭০০-৮০০ জন ঘোষ ৮ থেকে ১০ হাজার মণ দই নিয়ে এসে বিক্রি করতেন। মেলাকে ঘিরে এ অঞ্চলে সাজ সাজ রব পড়ে যেত। এলাকায় নাইওরে আসত বউ-ঝি। বাদ যেতেন না দূরের স্বজনরা। তিন দিনের মেলা ছিল জৌলুসে ভরা। দইয়ের বেশ চাহিদা থাকায় এ বছরও কোনো বিক্রেতার দই অবিক্রীত ছিল না বলে জানান বিক্রেতা উজ্জল ঘোষ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডিহাইড্রেশন দূর করতে ‘লেবুর কাজী’
লেবুর কাজী ভাতের সাথে ডালের মতো খেতে পারেন। এ ছাড়া আলু ভর্তা, ডিম ভাজি, মাংসের ঝুরা, কালা ভুনা, এবং কোয়াবের সঙ্গে খেতেও অনেক ভালো লাগে। ভুনা বা ডিপ ফ্রাই মাছের সাথেও বেশ জমে যায় লেবুর কাজী।
উপকরণ
ঠান্ডা পানি: ৫০০ মিলি
ভাজা শুকনা মরিচ: ২টি
লেবু: ১টি (রস করে নেওয়া)
সরিষার তেল: ১ টেবিল চামচ
রসুন কুচি: ১ চা চামচ
লবণ: স্বাদমতো
প্রথম ধাপ: একটি বড় বাটিতে লেবুর রস, শুকনা মরিচ, রসুন কুচি, সরিষার তেল ও লবণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর হাত দিয়ে উপকরণগুলো ভালোভাবে মেখে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ: এবার পরিমাণমতো পানি যোগ করুন। এরপর সবকিছু একসাথে মিশিয়ে নিলেই তৈরি লেবুর কাজী।
সূত্র: শিউলি কিচেন
ঢাকা/লিপি