Samakal:
2025-11-03@20:39:01 GMT

তাড়াশে ঐতিহ্যবাহী দইমেলা

Published: 3rd, February 2025 GMT

তাড়াশে ঐতিহ্যবাহী দইমেলা

তাড়াশ উপজেলা সদরের তাড়াশ ঈদগাহ মাঠে রোববার ঐতিহ্যবাহী দইমেলা শুরু হয়েছে। প্রতিবছর মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে এ মেলার আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের ভাষ্য, আড়াইশ বছর ধরে এই মেলা হয়ে আসছে।
দিনব্যাপী এই মেলায় এসেছেন বগুড়া, শেরপুর, রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা, ঘুড়কা, পাবনার চাটমোহরের হান্ডিয়াল, নাটোরের গুরুদাসপুরের শ্রীপুর, উল্লাপাড়ার ধরইলের দই বিক্রেতারা। মেলায় ক্ষীরশা দই, শাহি দই, টক দই, ডায়াবেটিক দই, স্পেশাল দই, প্রিমিয়ামসহ হরেক রকম দই বিক্রি করা হয়। দইয়ের পাশাপাশি মুড়ি, মুড়কি, আমন, আউশ ধানের চিড়া, মোয়া, বাতাসা, কদমা, খাগরাই, খেজুরের গুড়সহ নানা ধরনের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা। 
বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা, সিরাজগঞ্জ শীর্ষক বইয়ে তাড়াশের এ দইমেলার বর্ণনা রয়েছে। বলা হয়েছে, জমিদার আমলে মেলায় ৭০০-৮০০ জন ঘোষ ৮ থেকে ১০ হাজার মণ দই নিয়ে এসে বিক্রি করতেন। মেলাকে ঘিরে এ অঞ্চলে সাজ সাজ রব পড়ে যেত। এলাকায় নাইওরে আসত বউ-ঝি। বাদ যেতেন না দূরের স্বজনরা। তিন দিনের মেলা ছিল জৌলুসে ভরা। দইয়ের বেশ চাহিদা থাকায় এ বছরও কোনো বিক্রেতার দই অবিক্রীত ছিল না বলে জানান বিক্রেতা উজ্জল ঘোষ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ