Risingbd:
2025-06-16@17:19:24 GMT

সবার জন্য ‘আওয়াজ’ তুললেন মিঠুন

Published: 4th, February 2025 GMT

সবার জন্য ‘আওয়াজ’ তুললেন মিঠুন

আলোচিত ইস্যুটি প্রশ্ন হয়ে আসবে তা জানতেন চিটাগং কিংসের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। যখন এলো, মিঠুন বিচলিত হলেন না একটু-ও। বরং মুখে হাসি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে তার সরল জবাব, ‘‘আমি তো বলে দিয়েছি…যা বলার।’’ মিথুনের হাসি থামে না। পাল্টা প্রশ্ন যায়, ‘ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আসলে কতটা পীড়াদায়ক।’’ উত্তরটা, ‘‘এটা দুঃখজনক।’’ উত্তরের বাকি অংশ জানার আগে পটভূমি পরিস্কার করা যাক।

বিপিএলে এবার পারিশ্রমিক জটিলতা টক অব দ্য টাউন। সঙ্গে যোগ হয়েছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। গণমাধ্যমে এসেছে, ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ চিটাগং কিংসের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের বিরুদ্ধে। শুধু মিঠুনই নন, সব মিলিয়ে দশ ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করেছে একাধিক গণমাধ্যম। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বিসিবির দূর্নীতি দমন সংস্থা (আকসু) কোনো ক্রিকেটারের তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে কোথাও প্রকাশ করেনি।

গণমাধ্যমে বিষয়টি আসায় ক্ষেপেছেন মিঠুন এবং তার দল চিটাগং কিংস। গত শুক্রবার নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করে মিঠুন নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই সময়টায় মিঠুন কেবল নিজের কথা বলেছিলেন। তাকে বলতে দেখা যায়, ‘‘আপনার একটা নিউজের কারণে কিন্তু আমার সম্মানহানি হচ্ছে। আমার যে ১৫ বছরের সম্মান, সেই সম্মানটা নষ্ট হচ্ছে। আমার মানহানি মানে.

..এই বিষয়টাতে আমি কখনও ছাড় দিই না। আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে এটা নিয়ে আমি কোন ছাড় দিই না।”

নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মিঠুন সেদিন আরো বলেছিলেন, ‘‘যদি প্রতিক্রিয়া জানতে চান আমার কিন্তু একবারও মন খারাপ হয়নি বা আমার ভেতরে কোনো শঙ্কা কাজ করেনি। কারণ আমি জানি আমি কী। আমার ভেতরে কী আছে আমার থেকে ভালো কেউ জানে না।”

সেদিনের পর মিঠুন গতকালই প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। ফিক্সিং ইস্যুতে এবারও তার মুখ খুলতে হলো। তবে এবার মিঠুন শুধু নিজের জন্য নয়, সব ক্রিকেটারের হয়ে ‘‘আওয়াজ’’ তুললেন,
‘‘এটা দুঃখজনক। যে কারো ব্যাপারে যদি কোন কিছু লিখতে হয় বা বলতে হয় সেটা প্রপার ডকোমেন্টসহ যাচাই বাছাই করে বলা উচিত। এটা শুধু আমার জন্য না। সবার জন্যই।’’

মিঠুনের দল চিটাগং ভাইকিংস প্রথম কোয়ালিফায়ারে স্রেফ উড়ে গেছে চিটাগংয়ের কাছে। তাদের ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ আছে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাদের হারাতে হবে খুলনা টাইগার্সকে। প্রতিযোগিতার শেষ দিকে এসে প্রায় সব দলই বড় তারকা খেলোয়াড়দের দলে ভেড়াচ্ছে। তবে চিটাগংয়ের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই।

অধিনায়ক বললেন, ‘‘এখন পর্যন্ত ওরকম কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা ওটাতে (বড় নাম) বিশ্বাসীও নই। শুধু বড় নাম হলেই হয় না। আমাদের যদি দেখেন যারা খেলেছে পুরো টুর্নামেন্ট খেলেছে। এই কন্ডিশনের সঙ্গে ওদের অ্যাডজাস্ট হয়ে গেছে। আমরা ওইটা বিশ্বাস করি না যে, একটা বড় নাম আনলেই ও ডেলিভারী করে দেবে। ও তো না-ও করতে পারে।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমল ৭৫ পয়সা

রাজশাহীতে হিমাগারে আলু সংরক্ষণে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার আলুচাষি, ব্যবসায়ী ও হিমাগারমালিকদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিমাগারে প্রতি কেজি আলু রাখার জন্য ভাড়া দিতে হবে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে শ্রমিকের খরচ ৫০ পয়সা। সেই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমেছে ৭৫ পয়সা।

এর আগে গত মার্চে সরকার প্রতি কেজি আলু রাখার ভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর পর থেকে এ নিয়ে রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা বাড়তি ভাড়ায় আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে কয়েক দফা তাঁরা রাজপথে আন্দোলনও করেছেন। অন্যদিকে হিমাগারমালিকদের দাবি ছিল, প্রতি কেজি আলুর ভাড়া ৮ টাকা করা হোক।

রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজশাহী জেলা আলুচাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহীতে হিমাগার থেকে বাড়তি ভাড়া না দিলে আলু ছাড়া হবে না। এর প্রতিবাদে ঈদের পর নতুন করে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করে আসছেন। তাঁদের দাবি, আলু রাখার খরচ আগের বছরের মতো চার টাকা করতে হবে। এ নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা। হিমাগার মালিকপক্ষ এ নিয়ে আলোচনায় বসার তাগিদ দিয়ে আসছিল।

এরই মধ্যে আলুচাষিনেতারা ১৪ জুন সেনাবাহিনীর কাছে এ নিয়ে একটি অভিযোগ দেন। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আজ দুপুরে সভা ডাকা হয়। সভায় সব পক্ষের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে এ বছর সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সার বদলে ৫ টাকা ৫০ পয়সা ও শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা রাখা হবে। আর পেইড বুকিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে আলু রাখা চাষি ও ব্যবসায়ীদের। পরে বিকেলে ক্যান্টনমেন্টে হওয়া এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিকভাবে পাস করার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দপ্তরে সভা হয়।

সভায় আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, হিমাগার মালিক সমিতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে নতুন ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি সব হিমাগারে প্রচার করা হবে।

এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এবার আলুর দাম কম। আবার এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘাতের আশঙ্কা ছিল। এ নিয়ে একটি অভিযোগ পান তাঁরা। পরে দুই পক্ষকে নিয়ে সভা হয়। সভায় সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত বিকেলে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আরেকটি সভার মাধ্যমে পাস হয়েছে।

রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিঠু আহমেদ বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা বাড়তি ভাড়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। কয়েক দিন ধরে তাঁরা হিমাগার থেকে আলু নিতে পারছিলেন না। হিমাগারগুলোয় বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছিল। এ নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও অবহিত করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত একটি ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রহমান সিডস স্টোরেজের ব্যবস্থাপক আবদুল হালিম বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি কেজি আলু রাখতে খরচ পড়বে ৫ টাকা ৫০ পয়সা আর শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা। এ ছাড়া যাঁরা আগে থেকেই টাকা দিয়ে অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আলুর কেজিপ্রতি শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে।

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত সব হিমাগারমালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হবে।

আরও পড়ুনরাজশাহীতে হিমাগারে ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ১৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ