আলোচিত ইস্যুটি প্রশ্ন হয়ে আসবে তা জানতেন চিটাগং কিংসের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। যখন এলো, মিঠুন বিচলিত হলেন না একটু-ও। বরং মুখে হাসি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে তার সরল জবাব, ‘‘আমি তো বলে দিয়েছি…যা বলার।’’ মিথুনের হাসি থামে না। পাল্টা প্রশ্ন যায়, ‘ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আসলে কতটা পীড়াদায়ক।’’ উত্তরটা, ‘‘এটা দুঃখজনক।’’ উত্তরের বাকি অংশ জানার আগে পটভূমি পরিস্কার করা যাক।
বিপিএলে এবার পারিশ্রমিক জটিলতা টক অব দ্য টাউন। সঙ্গে যোগ হয়েছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। গণমাধ্যমে এসেছে, ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ চিটাগং কিংসের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের বিরুদ্ধে। শুধু মিঠুনই নন, সব মিলিয়ে দশ ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করেছে একাধিক গণমাধ্যম। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বিসিবির দূর্নীতি দমন সংস্থা (আকসু) কোনো ক্রিকেটারের তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে কোথাও প্রকাশ করেনি।
গণমাধ্যমে বিষয়টি আসায় ক্ষেপেছেন মিঠুন এবং তার দল চিটাগং কিংস। গত শুক্রবার নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করে মিঠুন নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই সময়টায় মিঠুন কেবল নিজের কথা বলেছিলেন। তাকে বলতে দেখা যায়, ‘‘আপনার একটা নিউজের কারণে কিন্তু আমার সম্মানহানি হচ্ছে। আমার যে ১৫ বছরের সম্মান, সেই সম্মানটা নষ্ট হচ্ছে। আমার মানহানি মানে.
নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মিঠুন সেদিন আরো বলেছিলেন, ‘‘যদি প্রতিক্রিয়া জানতে চান আমার কিন্তু একবারও মন খারাপ হয়নি বা আমার ভেতরে কোনো শঙ্কা কাজ করেনি। কারণ আমি জানি আমি কী। আমার ভেতরে কী আছে আমার থেকে ভালো কেউ জানে না।”
সেদিনের পর মিঠুন গতকালই প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। ফিক্সিং ইস্যুতে এবারও তার মুখ খুলতে হলো। তবে এবার মিঠুন শুধু নিজের জন্য নয়, সব ক্রিকেটারের হয়ে ‘‘আওয়াজ’’ তুললেন,
‘‘এটা দুঃখজনক। যে কারো ব্যাপারে যদি কোন কিছু লিখতে হয় বা বলতে হয় সেটা প্রপার ডকোমেন্টসহ যাচাই বাছাই করে বলা উচিত। এটা শুধু আমার জন্য না। সবার জন্যই।’’
মিঠুনের দল চিটাগং ভাইকিংস প্রথম কোয়ালিফায়ারে স্রেফ উড়ে গেছে চিটাগংয়ের কাছে। তাদের ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ আছে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাদের হারাতে হবে খুলনা টাইগার্সকে। প্রতিযোগিতার শেষ দিকে এসে প্রায় সব দলই বড় তারকা খেলোয়াড়দের দলে ভেড়াচ্ছে। তবে চিটাগংয়ের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই।
অধিনায়ক বললেন, ‘‘এখন পর্যন্ত ওরকম কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা ওটাতে (বড় নাম) বিশ্বাসীও নই। শুধু বড় নাম হলেই হয় না। আমাদের যদি দেখেন যারা খেলেছে পুরো টুর্নামেন্ট খেলেছে। এই কন্ডিশনের সঙ্গে ওদের অ্যাডজাস্ট হয়ে গেছে। আমরা ওইটা বিশ্বাস করি না যে, একটা বড় নাম আনলেই ও ডেলিভারী করে দেবে। ও তো না-ও করতে পারে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’