জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হল এলাকা থেকে এক ইন্টারনেট কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে হল এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে হলের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।

নিহত প্রীতম রায় মীর মশাররফ হোসেন হলে ইন্টারনেট প্রোভাইডার মাস্টারনেটের কর্মচারী। তিনি সাভারের ভাটপাড়া এলাকায় ইন্টারনেট কোম্পানির বাসায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর।

মীর মশাররফ হোসেন হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও কর্মচারী সূত্রে জানা যায়, রাতে প্রীতমসহ চারজন কর্মচারী হলে ইন্টারনেট সার্ভিসিংয়ের কাজ করছিলেন। প্রীতম হলের এ-ব্লকের চারতলা ভবনের ছাদের সার্ভিসিং করছিলেন বাকিরা হলের অন্যদিকে কাজ করছিলেন। পরে প্রীতমের খোঁজ না পেয়ে তাকে খোঁজাখুঁজির পর হলের পেছনের অংশ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের ধারণা, তিনি ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন।

এ বিষয়ে মাস্টারনেটের মালিক মো.

রুবেল বলেন, দিনের বেলায় সব শিক্ষার্থী রুমে অবস্থান করে না। সে জন্য রাতেই তার কর্মচারীরা হলে সার্ভিসিংয়ের কাজ করছিলেন। ছাদে প্রীতম ইন্টারনেটের লেজারের কাজ করছিলেন। রাত ১১টার দিকে হলে বাকি যারা কাজ করছিলেন তাদের একজনকে প্রীতম ফোনে জানিয়েছিলেন তিনি দুটি লেজার সার্ভিসিং করেছেন আর দুটি বাকি আছে। এরপরে তার সাড়া শব্দ না পেয়ে খোঁজাখুঁজির পর হলের পেছনের অংশে প্রীতমের মরদেহ দেখতে পান।

এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহামুদুর রহমান বলেন, স্পটে দুইবার গিয়ে এবং কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে যেটা ধারণা করছি সেটা হলো, হলের ছাদের চিলেকোঠার কার্নিশ ধরে ওপরে উঠতে গিয়ে হয়তো পড়ে গেছে। কারণ আমরা কার্নিশের ইট ভাঙা পেয়েছি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ করছ ল ন

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ