ফর্ম হারিয়ে ধুঁকছেন বিরাট কোহলি। বারবার একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে তার ব্যাটিংয়ে। অফ স্টাম্পের বাইরের বল মোকাবিলায় দুর্বলতা যেন পুরনো ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নিয়মিত এভাবে আউট হয়েছেন তিনি। এবার রঞ্জি ট্রফিতেও সেই একই দুর্বলতায় শিকার হলেন—অখ্যাত পেসার হিমাংশু সাংওয়ানের বলে মাত্র ১৫ বল খেলে সাজঘরে ফিরলেন কোহলি।  

তবে মজার ব্যাপার হলো, কোহলিকে আউট করার পরিকল্পনা কেবল ক্রিকেট বিশ্লেষকদের জানা নয়, এটি জানতেন এক বাসচালকও! ম্যাচের আগে হিমাংশু নিজেই সেই বাসচালকের পরামর্শ পেয়েছিলেন। রেলওয়েজ দলের প্রধান পেসার হিমাংশু বলেন, ‘হোটেল থেকে মাঠে যাওয়ার পথে বাসচালক আমাকে বলেছিলেন, কোহলিকে চতুর্থ বা পঞ্চম স্টাম্পে বল করলেই আউট করা যাবে।’  

তবে ম্যাচটি যে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে, তা জানতেন না হিমাংশু। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম, দিল্লির হয়ে কোহলি ও রিশাভ পন্ত খেলবেন। কিন্তু ম্যাচটি লাইভ দেখানো হবে, এটা জানতাম না। পরে জানতে পারি, পন্ত খেলছেন না, তবে কোহলি খেলবেন এবং ম্যাচটি টিভিতে দেখা যাবে। আমি নিজের শক্তির ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম, আর সেটাই কাজে লেগেছে।’

কোহলিকে আউট করার পর রাতারাতি আলোচনায় উঠে আসেন হিমাংশু। তার কথায়, ‘কোহলি আমাকে যে বলটায় বাউন্ডারি মেরেছিলেন, সেটাই আমাকে তাতিয়ে দেয়। পরের বলে আমি ব্যাকস্পিন করি। মোহাম্মদ শামিকে এমন বল করতে দেখেছি, সেটাই অনুসরণ করেছিলাম। বলটা পড়ে সোজা যাচ্ছিল, কিন্তু ব্যাটের কাছে গিয়ে ভেতরে ঢুকে যায়। ব্যাট ও পায়ের মাঝখান দিয়ে উইকেটে আঘাত করে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল ক হল ক

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ