বাসচালকের পরামর্শেই কোহলিকে আউট করলেন হিমাংশু!
Published: 4th, February 2025 GMT
ফর্ম হারিয়ে ধুঁকছেন বিরাট কোহলি। বারবার একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে তার ব্যাটিংয়ে। অফ স্টাম্পের বাইরের বল মোকাবিলায় দুর্বলতা যেন পুরনো ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নিয়মিত এভাবে আউট হয়েছেন তিনি। এবার রঞ্জি ট্রফিতেও সেই একই দুর্বলতায় শিকার হলেন—অখ্যাত পেসার হিমাংশু সাংওয়ানের বলে মাত্র ১৫ বল খেলে সাজঘরে ফিরলেন কোহলি।
তবে মজার ব্যাপার হলো, কোহলিকে আউট করার পরিকল্পনা কেবল ক্রিকেট বিশ্লেষকদের জানা নয়, এটি জানতেন এক বাসচালকও! ম্যাচের আগে হিমাংশু নিজেই সেই বাসচালকের পরামর্শ পেয়েছিলেন। রেলওয়েজ দলের প্রধান পেসার হিমাংশু বলেন, ‘হোটেল থেকে মাঠে যাওয়ার পথে বাসচালক আমাকে বলেছিলেন, কোহলিকে চতুর্থ বা পঞ্চম স্টাম্পে বল করলেই আউট করা যাবে।’
তবে ম্যাচটি যে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে, তা জানতেন না হিমাংশু। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম, দিল্লির হয়ে কোহলি ও রিশাভ পন্ত খেলবেন। কিন্তু ম্যাচটি লাইভ দেখানো হবে, এটা জানতাম না। পরে জানতে পারি, পন্ত খেলছেন না, তবে কোহলি খেলবেন এবং ম্যাচটি টিভিতে দেখা যাবে। আমি নিজের শক্তির ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম, আর সেটাই কাজে লেগেছে।’
কোহলিকে আউট করার পর রাতারাতি আলোচনায় উঠে আসেন হিমাংশু। তার কথায়, ‘কোহলি আমাকে যে বলটায় বাউন্ডারি মেরেছিলেন, সেটাই আমাকে তাতিয়ে দেয়। পরের বলে আমি ব্যাকস্পিন করি। মোহাম্মদ শামিকে এমন বল করতে দেখেছি, সেটাই অনুসরণ করেছিলাম। বলটা পড়ে সোজা যাচ্ছিল, কিন্তু ব্যাটের কাছে গিয়ে ভেতরে ঢুকে যায়। ব্যাট ও পায়ের মাঝখান দিয়ে উইকেটে আঘাত করে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল ক হল ক
এছাড়াও পড়ুন:
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
বাঁশ এক ধরনের ঘাস এবং চীর সবুজ বহু বর্ষজীবী উদ্ভিদ। আমাদের দেশে এটি একটি সংবেদনশীল শব্দ। কিন্তু চীনে বাঁশকে শুভশক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এই কারণে চীনা সংস্কৃতির সর্বত্র রয়েছে বাঁশের ব্যবহার। তারা মনে করে বাঁশ নেতিবাচক শক্তিকে প্রতিহত করতে পারে। আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। প্রতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালিত হয়। বাঁশের প্রয়োজনীয়তা ও বাঁশ সম্পর্কিত সচেতনতা ছড়িয়ে দিতেই বিশ্ব বাঁশ দিবস পালিত হয়।
মুলি, তল্লা, আইক্কা, ছড়িসহ নানা ধরনের বাঁশ রয়েছে। পৃথিবীতে ৩০০ প্রজাতির বাঁশ আছে।এর মধ্যে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইন্সটিটিউট ৩৩ প্রজাতির বাঁশ সংরক্ষণ করেছে।
আরো পড়ুন:
কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস
পিসিওএস রোগ হলে নারী কী গর্ভধারণ করতে পারেন?
২০০৫ সালে বৈশ্বিকভাবে বাঁশ শিল্পকে উন্নত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব বাঁশ সংস্থা। ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অষ্টম বিশ্ব বাঁশ কংগ্রেস চলাকালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায় বিশ্ব বাঁশ দিবস।
২০০৯ সালের ওই সম্মেলনে প্রায় ১০০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং দিনটিকে বিশ্ব বাঁশ দিবস হিসাবে মনোনীত করার প্রস্তাবে সম্মত হন। এই দিবস পালনের প্রস্তাব রেখেছিলেন সংস্থার তৎকালীন সভাপতি কামেশ সালাম।
বিশ্বব্যাপী আসবাবপত্র কিংবা গৃহস্থালি প্রয়োজন ছাড়াও বাঁশ ব্যবহার করা হয় খাদ্যদ্রব্য হিসেবে। সবুজ বাঁশের ডালের ভেতরের অংশ অর্থাৎ বাঁশ কোড়ল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) গ্লোবাল ব্যাম্বু রিসোর্সেস প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায় চীনে। চীনে অন্তত ৫০০ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে রয়েছে ২৩২ প্রজাতির বাঁশ। আর ৩৩ প্রজাতির বাঁশ থাকা বাংলাদেশ আছে তালিকার অষ্টমে।
বাঁশ খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। পুষ্টি উপাদান ও মুখরোচক স্বাদের জন্য পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের কাছে খাবার বাঁশ কোড়ল নামে পরিচিত।এর তৈরি স্যুপ, সালাদ, তরকারি বেশ জনপ্রিয়। সাধারণত বাঁশের অঙ্কুরোদগম হওয়ার পর চার থেকে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত যে কচি বাঁশ হয় সেটাই রান্না করে খাওয়া যায়।
ঢাকা/লিপি