গেল ১৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ছয় বার ছুরিকাঘাতের পর রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। দুটি অস্ত্রোপচারের পর ২১ জানুয়ারি মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন ছোট নবাব। ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর প্রকাশ্যে আসলেও সোমবার প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাইফ আলী খান।

চলতি বছরে নেটফ্লিক্স একসঙ্গে বেশ কয়েকটি সিনেমার নাম ঘোষণা করে। যার মধ্যে রয়েছে ‘জুয়েল থিফ: দ্যা হিস্ট বিগিংস’। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন সাইফ আলী খান ও জয়দীপ অহলাওয়াট। সে উপলক্ষেই সংবাদ সম্মেলনে হাজির ছিলেন সাইফ। হাসি মুখে ক্যামেরায় পোজ দিয়েছেন তিনি।

বর্তমানে শারীরিক অবস্থা ও নতুন কাজ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সাইফ বলেন, ‘আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পেরে ভীষণ ভাল লাগছে। এই ছবিটি নিয়ে আমি খুবই উত্তেজিত। আমি আর সিদ্ধার্থ এই সিনেমাটি নিয়ে দীর্ঘদিন অনেক আলোচনা করেছি। আমি সবসময় এই ধরনের ছবিতে কাজ করার স্বপ্ন দেখেছি। তার মতো একজন ভাল সহ-অভিনেতার সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে আর তো কিছু বলার থাকতে পারে না।’

এদিকে বাড়ি ফেরার পর থেকেই মুম্বাই পুলিশকে তদন্তে যথাসাধ্য সাহায্য করছেন অভিনেতা। সাইফকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া শরিফুল এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, পতৌদি পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে দুই সন্তান তৈমুর ও জেহর ছবি তুলতে নিষেধ করাসহ বাড়ির বাইরে পাপারাৎজ্জিদের ভিড় কমানোর মত নিয়ম করে দিয়েছেন সাইফ-কারিনা। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের

গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।

মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।

এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।

মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ