৫০ মিনিটেই শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট
Published: 5th, February 2025 GMT
ক্রিকেটপ্রেমীদের আবেগ ও উত্তেজনা প্রতিচ্ছবি ভারত-পাকিস্তান মহারণ। এই দুই দল মখোমুখি হওয়া মানেই যে কোন স্তরের এবং যে কোন পর্যায়ের ক্রিকেটে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা। ঠিক এই দিকটা বিবেচনা করেই বর্তমানে বৈশ্বিক বা মহাদেশীয় আসরে এই দুই দলকে একই গ্রুপে রাখা হয়। এবারও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই দেখতে মুখিয়ে আছেন ভক্ত-সমর্থকরা। আর সেই উন্মাদনারই প্রতিফলন দেখা গেল টিকিট বিক্রিতে। মাত্র ৫০ মিনিটেই শেষ হয়ে গেল সব টিকিট!
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচগুলোর জন্য সোমবার থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সাধারণ আসনের টিকিটের মূল্য ছিল ১২৫ দিরহাম (প্রায় ৪,২০০ টাকা), তবে এ ম্যাচের প্লাটিনাম লাউঞ্জের টিকিটের দাম উঠেছে ২,০০০ দিরহাম (প্রায় ৬৬,০০০ টাকা) এবং গ্র্যান্ড লাউঞ্জের টিকিটের মূল্য ৫,০০০ দিরহাম (প্রায় ১,৬৫,০০০ টাকা)। কিন্তু এই টিকিটও যেন সোনার হরিণ!
আরো পড়ুন:
মোদিকে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ
পশ্চিমবঙ্গে ৪ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ২৫,০০০ হলেও অনলাইনে টিকিট কেনার ওয়েবসাইটে একসাথে ভিড় জমান অন্তত দেড় লাখ দর্শক। একই দৃশ্য দেখা গেছে দুবাইয়ের টিকিট বিক্রির কেন্দ্রগুলোতেও। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও অনেকেই টিকিট না পেয়ে হতাশ হন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচই নয়, ভারত-বাংলাদেশ এবং ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের টিকিটও দ্রুত বিক্রি হয়ে গেছে। অনলাইনে চেষ্টা করেও টিকিট পাচ্ছেন না সমর্থকরা।
ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক ও ক্রীড়াগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে এই ম্যাচ সবসময়ই থাকে আলাদা আলোচনায়। পরাজয়ে কান্না, জয়ে রাস্তায় নেমে উদযাপন—এটাই দুই দেশের ক্রিকেট ভক্তদের আবেগের চিত্র। তবে শেষ হাসি কে হাসবে? ভারত নাকি পাকিস্তান? উত্তর মিলবে ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে মাঠের লড়াইয়ে।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?