ফরিদপুরে ওয়ালটন প্লাজার উদ্যোগে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়।

বুধবার সকাল ১০টায় ওয়ালটন প্লাজা প্রাঙ্গণে এই ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) মো.

জাফর, জেলা সমাজসেবার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক, ওয়ালটন ফরিদপুরের রিজিওনাল ম্যানেজার অতনু রায়, রিজিওনাল ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান জোয়াদ্দার ও গোয়ালচামোট ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস।

চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন ফরিদপুর ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সুলতানা তরী।

ফ্রি চিকিৎসাসেবা পেয়ে সুবিধাভোগীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ওয়ালটন প্লাজার উদ্যোগে আমরা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ পেয়েছি, এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এ ধরনের উদ্যোগ যেন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকে।

এছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের পাশাপাশি ওয়ালটন পণ্য প্রদর্শনী ও কিস্তি মেলার আয়োজন করা হয়, যেখানে গ্রাহকদের ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। ওয়ালটন প্লাজার কর্মকর্তারা জানান, দিনব্যাপী এই মেডিকেল ক্যাম্পে শতাধিক মানুষ চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ