পাবনায় পেট্রোল পাম্পে ধর্মঘট, চালক-যাত্রীদের ভোগান্তি
Published: 5th, February 2025 GMT
‘বিনা নোটিশে’ সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী বিভাগীয় কমিটি ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ধর্মঘট শুরু হওয়ায় পেট্রোল পাম্প বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য জেলার মতো পাবনা জেলাতেও ধর্মঘট চলছে। ফলে তেল না পেয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহন চালক ও ক্রেতারা।
সকালে বিভিন্ন তেল পাম্প ঘুরে দেখা যায়, অনেকে পেট্রোল পাম্প বন্ধ ঘোষণার বিষয়টি আগে জানতে পারেননি। যেকারণে পাম্পে তেল নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। অনেকে মোটরসাইকেল ঠেলে নিয়ে এসেও তেল পাননি। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তারা।
আরো পড়ুন:
ঢাকার প্রথম তেলের পাম্প
মোটরসাইকেল চালক আব্দুল হালিম জানান, তেল পাম্প বন্ধ তা তিনি জানেন না। এখন তেল নিতে এসে দেখেন পাম্প বন্ধ। এখন তো মহা মুশকিলে।
আরেক মোটরসাইকেল চালক সাইদুর রহমান জানান, মোটরসাইকেলের তেল শেষ হয়ে যাওয়ায় শহর থেকে ঠেলে নিয়ে এডওয়ার্ড কলেজের পাশে পাম্পে যান তেল নিতে। গিয়ে দেখেন তেল দেওয়া হচ্ছে না। তখন আবার গাড়ি ঠেলে নিয়ে বাসায় ফিরতে হয়েছে।
লড়ি চালক মোকছেদ আলী জানান, গতরাতে গাড়ি নিয়ে শহরে এসেছেন। মালামাল নামিয়ে রাতে শহরে ছিলেন। সকালে জেনেছেন তেল পাম্প বন্ধ। এখন পাম্প না খেলা পর্যন্ত পাবনায় বসে থাকা ছাড়া আর উপায় নেই।
মেসার্স হাইওয়ে পেট্রোল সার্ভিসের ম্যানেজার সঞ্জয় কুণ্ডু জানান, মালিক পক্ষ ফোন করে সকাল ৮টা থেকে তেল পাম্প বন্ধ রাখতে বলেছেন। তাই তেল বিক্রি বন্ধ। কখন চালু হবে জানা নেই।
পাবনা পেট্রোলিয়ামের ম্যানেজার লিটন হোসেন জানান, নওগাঁতে সড়ক ও জনপদ বিভাগ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। সেখানে একটি পেট্রোল পাম্প নাকি ভেঙে দিয়েছে। তার প্রতিবাদে এই ধর্মঘট। তবে মালিক সমিতির সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনার মাধ্যমে দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ করেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি নওগাঁর সড়ক ও জনপথ বিভাগ পূর্ব ঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি না দিয়ে আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান চালান। তাতে পেট্রোল পাম্প মালিকেরা ক্ষুব্ধ। এর প্রতিবাদে ধর্মঘটের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। এতে একযোগে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার পেট্রোল পাম্প বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঢ ক র প রথম ত ল র প ম প অবর ধ ল প ম প বন ধ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’