রাবিতে ফ্যাসিস্টদের বিচারসহ ৩ দফা দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 5th, February 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফ্যাসিবাদীদের বিচারসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রাবি গণঅভ্যুত্থান মঞ্চ।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী তামিম বলেন, “অতীতে শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ফ্যাসিস্টদের কোন কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না। ছাত্র-সমাজ দমে যায়নি, তারা ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করবে।”
শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান জিয়া বলেন, “সরকার ফ্যাসিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে, দোসরদের প্রমোশন দিচ্ছে, কিন্তু ন্যায়বিচার নেই। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিস্টদের নামে ভবন-হল পরিবর্তনের উদ্যোগ হলেও রাবিতে তা বাস্তবায়িত হয়নি।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিচার নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্টদের প্রমোশন অনতিবিলম্বে স্থগিত করা; ফ্যাসিস্ট ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন ও আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করে সেবার মান বৃদ্ধি করা।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক