Samakal:
2025-11-03@14:04:27 GMT

বিভ্রান্তি ছড়ানোয় দায়ী যখন এআই

Published: 5th, February 2025 GMT

বিভ্রান্তি ছড়ানোয় দায়ী যখন এআই

সারাবিশ্বে এআই প্রযুক্তির বদৌলতে ভয়েস ক্লোনিং করার যে প্রবণতা সর্বত্র, তাতে বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা করছেন ডিজিটাল বিশেষজ্ঞরা। যার ক্ষতিকর প্রভাব শিল্পক্ষেত্রেও পড়তে পারে। যারা ভয়েস ওভার শিল্পী, বাচিক শিল্পী বা নিউজ উপস্থাপক, তাদের জন্য বিপদসংকেত।

ইতোমধ্যে এআই নিউজ উপস্থাপক খবর পরিবেশন করেছে। কৌতূহলে অনেকেই এআই নিয়ে অনেক কিছুই করছি। যার ফলে অনেকে কাজ হারাতে পারেন, তা ভেবেই দেখছি না। অর্থাৎ যারা ভয়েস, ভিডিও নিয়ে কাজ করেন, তাদের কাজ হারানোর ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। এআই প্রযুক্তির সফল ব্যবহারে প্রতিষ্ঠানের খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। ফলে প্রযুক্তিটি ব্যবহারের প্রবণতা দিনের পর দিন বাড়বেই, কমবে না।

অনেকেই হয়তো রোবট সোফিয়ার কথা জানেন। সে যেমন সব কথার জবাব দেয়, তেমনই সব আবেগ ও অনুভুতিও প্রকাশ করতে পারদর্শী। সে ঘটনার বিশ্লেষণে রেগে যায়, হাসে, অপলক তাকিয়ে থাকতে পারে। যার সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করা হয় এআই প্রযুক্তির ব্যবহারে। সব কিছু পারলেও সোফিয়ার তা অনুভব করার ক্ষমতা নেই।

বলতে গেলে, এআই দিয়ে যতই বহুমাত্রিক ভয়েস আর ভিডিও তৈরি করা হোক না কেন, ওই সবের মধ্য়ে কিন্তু কোনভাবেই অনুভূতির চূড়ান্ত বর্হিঃপ্রকাশ সম্ভব নয়। গায়কের কণ্ঠও দেবে এআই। তবে একটা সময়ে এসে এআই প্রযুক্তির একঘেয়েমি কাটাতে মানুষ নিজেই বিরক্ত হয়ে আসল কন্ঠস্বরের খোঁজ করবে। ফলে প্রথম দিকে হয়তো অনেক মানুষ কাজ হারাতে পারেন। কিন্তু যারা মৌলিক শিল্পী, কাজে সুদক্ষ তাদের জায়গা এআই সহজেই নিতে পারবে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এআই ক ত র ম ব দ ধ মত ত

এছাড়াও পড়ুন:

কারা বেশি কাঁদেন? 

কান্না একটি এমন একটি স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর মানসিক প্রক্রিয়া যা শরীরকে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।  গবেষণায় দেখা গেছে যে, ‘‘যারা বেশি কাঁদেন তাদের মধ্যে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এর কারণ কখনও মানসিক কখনও শারীরিক আবার কখনও পারিপার্শ্বিক বিষয়।’’ বেশি কান্না করা মানুষের আচরণে বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।

উচ্চ মানসিক সংবেদনশীলতা 
এই ব্যক্তিরা সাধারণত অন্যের আবেগ ও অনুভূতি খুব সহজেই বুঝতে পারেন এবং গভীরভাবে অনুভব করেন। সামান্য ঘটনায় তারা বেশি প্রভাবিত হন। 

আরো পড়ুন:

যেসব কারণে মানুষ স্বর্ণ জমায়

বিশ্বে কারা বেশি পড়েন, কোন বই বেশি পড়েন?

সহানুভূতির প্রবণতা 
যাদের মধ্যে সহানুভূতির মাত্রা বেশি, তারা প্রায়শই বেশি কাঁদেন। তারা নিজেদের পাশাপাশি অন্যের কষ্টেও সহজে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। 

মানসিক চাপ বা বিষণ্নতা 
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্নতার কারণে মানুষ বেশি কাঁদতে পারে। কান্না এক্ষেত্রে জমে থাকা মানসিক চাপ কমানোর একটি উপায় হিসেবে কাজ করে। 

হরমোনের প্রভাব 
হরমোনের তারতম্য, বিশেষ করে নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে, কান্নার প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মতো হরমোনের মাত্রা কান্নার সাথে সম্পর্কিত।

অতীত অভিজ্ঞতা 
অতীতের কোনো দুঃখজনক বা আঘাতমূলক ঘটনা মানুষের মধ্যে সহজে কেঁদে ফেলার প্রবণতা তৈরি করতে পারে।

যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কান্না
কিছু মানুষের জন্য কান্না হল নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করার একটি উপায়, কারণ তারা হয়তো কথা বলে তা প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। 

উল্লেখ্য, যদি অতিরিক্ত কান্না দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে বা বিষণ্নতার লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়, তাহলে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কারা বেশি কাঁদেন? 
  • তিন কারণে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে, অক্টোবরের বৃষ্টিও ভোগাবে