বাংলাদেশের জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে নারী ফুটবলারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, দুবার সাফ শিরোপাজয়ী নারী ফুটবলারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। এমনকি কাউকে কাউকে হত্যা ও ধর্ষণেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বাংলাদেশের এই নারী ফুটবলাররা আজ যখন দেশে-বিদেশে সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করছেন, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ের শিরোপা অর্জন করে দেশের সুনাম বয়ে আনছেন, তখন এ ধরনের পরিস্থিতি নারী ফুটবলারদের খেলার পরিবেশ বিঘ্নিত করে, যা ফুটবলারসহ কোনো নাগরিকের কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মহিলা পরিষদ এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবি জানাচ্ছে। একই সঙ্গে জাতীয় দলের ১৮ জন ফুটবলারসহ সব নারী ফুটবলারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবার কাছে দাবি জানাচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ