বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটস নতুন বান্ধবী পওলা হার্ডকে ‘সিরিয়াস গার্লফ্রেন্ড’ বলে মন্তব্য করেছেন। নতুন এই আলোচিত জুটি ‘মজার’ সময় পার করছেন। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৬৯ বছর বয়সী বিল গেটস এ কথা বলেন।

নতুন বান্ধবীর বিষয়ে বিল গেটস বলেন, ‘পলা হার্ডের মতো একজন একান্ত বান্ধবী পাওয়ায় আমার নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আমরা বেশ মজার সময় পার করছি, অলিম্পিকে গেলাম, অনেক ভালো ভালো জিনিস হচ্ছে।’

২০২১ সালে মেলিন্ডা ফ্রেন্সের সঙ্গে বিল গেটসের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। মেলিন্ডার সঙ্গে বিচ্ছেদকে সম্প্রতি ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিল গেটস। গত মাসের শেষের দিকে লন্ডনের দ্য টাইমসকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে বিল গেটস বলেছিলেন, ‘এ ভুলের জন্য আমি সবচেয়ে বেশি অনুতপ্ত।’ তবে বর্তমানে নিজেকে ‘উৎফুল্ল’ বলে মন্তব্য করছেন তিনি।

বিচ্ছেদের পরের বছর ২০২২ সাল থেকে বিল গেটস ও পলা হার্ড একসঙ্গে নানা অনুষ্ঠানে হাজির হতে থাকেন। তবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাঁরা নিজেদের সম্পর্কের কথা নিশ্চিত করেননি। ২০২৪ সালে তাঁদের একসঙ্গে অলিম্পিকে দেখা যায়।

আরও পড়ুনমেলিন্ডার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ছিল ভুল: বিল গেটস২৮ জানুয়ারি ২০২৫

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পলা হার্ড যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি ওরাকলের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক হার্ডের স্ত্রী ছিলেন। ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধ শেষে ২০১৯ সালে ৬২ বছর বয়সে মার্ক হার্ড মারা যান। এই দম্পতির ক্যাথরিন ও কেলি নামে দুই সন্তান রয়েছে।

দানবীর হিসেবে পলার সুখ্যাতি রয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে তিনি বিপুল দান করেছেন। দুই দশক ধরে তিনি এসব দাতব্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।

গতকাল বিল গেটসের আত্মজীবনীমূলক বই ‘সোর্স কোড: মাই বিগিনিংস’ প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ে তিনি পলার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মাইক্রোসফটের এই সহপ্রতিষ্ঠাতার বইটির পাণ্ডুলিপি যারা শুরুর দিকে পড়েছেন, পলা তাঁদের অন্যতম।

আরও পড়ুনবিল গেটস প্রেম করছেন, কে সেই প্রেমিকা০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩বিল গেটস ও মেলিন্ডা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ল গ টস কর ছ ন করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে

আগামী ২৩ জুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের সভায় বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব উঠছে। সভায় অনুমোদন হলে একসঙ্গে দুই কিস্তির ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার পাবে বাংলাদেশ। আইএমএফ শুক্রবার কার্যসূচিতে নির্বাহী পর্ষদের সভার এ তারিখ নির্ধারণের তথ্য প্রকাশ করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফ পর্ষদের বৈঠকে চলমান ঋণ কর্মসূচির পর্যালোচনা প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এ প্রতিবেদন পর্ষদ অনুমোদন করলে বাংলাদেশ একসঙ্গে পাবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ। ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে।

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা দিতে আইএমএফ ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, টাকার দরপতন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে ওই সময় আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ রয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। আরএসএফ আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকেই প্রথম ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার।

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা থাকলেও শর্ত পরিপালন নিয়ে বিশেষত টাকা–ডলার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া নিয়ে  জটিলতা তৈরি হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত এপ্রিলে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় ঢাকায় আসে। তবে সমঝোতা না হওয়ায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে যায়। এরপর ওয়াশিংটনে গত ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হয়।

সবশেষে গত মাসে এ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কয়েকটি ভার্চুয়াল বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ মে দুই পক্ষ চূড়ান্ত সমঝোতা হয় এবং বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে বাংলাদেশ। ১৪ মে আইএমএফ ওয়াশিংটন থেকে এক বিবৃতিতে জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং পর্ষদ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে জুনে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৭৬ কোটি ডলার বাড়তি ঋণ চেয়েছে। বাড়তি ঋণ যোগ হলে মোট দাঁড়াবে ৫৪০ কোটি ডলার। বিবৃতিতে বিনিময় হার, রাজস্ব আদায়, ব্যাংক খাতসহ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই বাংলাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: জয়া আহসান
  • জামের সঙ্গে খাবেন না যেসব খাবার
  • তদন্ত প্রতিবেদন দিতে এক মাস সময় বাড়ালেন ট্রাইব্যুনাল
  • কেন এবার একসঙ্গে পেকে যাচ্ছে ক্ষিরশাপাতি, আম্রপালি, ল্যাংড়া
  • শরীরের পাঁচ থেকে সাতটি অঙ্গ একসঙ্গে ব্যথা হয় যে কারণে
  • বাবাকে একটি সুন্দর দিন উপহার দিতে যা যা করতে পারেন
  • ফেনীতে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ 
  • আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে
  • এবার বাগ্‌দানের কথা নিজেই জানালেন ডুয়া
  • দেশের ক্রিকেট নিয়ে সাকিবের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে মিরাজের