রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ও তফসিল চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ঘোষণা করা হবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাকসু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, “এ পদে আসার পরই একটি ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, আমরা রাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। সে লক্ষ্যেই বেশ কিছু প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা রাখছি, এই ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই রাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ, তফসিলসহ একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে পারব।”

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই উপাচার্য ৬ মাসের মধ্যে রাকসু নির্বাচনের ঘোষণা দেন। সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন এবং সামাজিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে রাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু এরপর আর তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্ত্বরে এক সংবাদ সম্মেলন করে রাকসু আন্দোলন মঞ্চ।

সেখানে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সদস্য সচিব আমানুল্লাহ খান আমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গত ৫ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিভিন্ন সময়ে ৫-৬ মাসের মধ্যে রাকসু নির্বাচন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তার ঘোষিত সময় অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাকসুর তফসিল ঘোষণার জন্য আমরা রাকসু আন্দোলন মঞ্চ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য তফস ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ