যুক্তরাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জে সোশ্যাল মিডিয়া
Published: 6th, February 2025 GMT
মাইক্রোসফট কিনে নিতে পারে চীনের উদ্ভাবিত সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম টিকটক। কথাটি উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনা মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিনতে ওত পেতে আছে প্রথম সারির বহু প্রযুক্তি নির্মাতা।
চীনের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ কিনতে বৃহৎ কয়েকটি সংস্থার মধ্যে নিলাম-যুদ্ধ হোক, এমনটাই সুস্পষ্ট করে বলেছেন ট্রাম্প। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমন কথাই তিনি বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক ব্যবসা পরিচালন করা প্রায় অসম্ভব হতে চলেছে। ট্রাম্পের আগের মেয়াদে ও জো বাইডেনের মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধে কয়েক দফা পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে চীনের মালিকানাধীন টিকটক নিয়ে বারবার আপত্তি তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মূল সংস্থা বাইটডান্স। চীনা সংস্থা তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিলে এবং সেই শেয়ার কোনো মার্কিন সংস্থা বা যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু দেশের কোনো সংস্থা কেনার শর্তে দেশটিতে টিকটক চলতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে বাইডেনের আমলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ ও অফলাইন করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ওই সিদ্ধান্ত বিশেষ নির্বাহী আদেশে সমূলে বদলে দিয়েছেন ট্রাম্প। সম্পূর্ণ বাতিল হওয়া থেকে ৭৫ দিনের মতো সময় পেয়েছে উল্লিখিত প্ল্যাটফর্ম। ইতিহাস বলছে, ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি বাইটডান্সকে সরাসরি তাদের শেয়ার বিক্রির জন্য রীতিমতো চাপ প্রয়োগ করছেন।
খবরে প্রকাশ, ২০২০ সালে মাইক্রোসফটের কাছে গিয়েছিল বাইটডান্স, ওই সময়ে তেমন কিছুই ঘটেনি। তার পরে ওরাকলের কাছেও ধরনা দিয়েছিল বাইটডান্স। তখনও কিছু সুফল পায়নি প্ল্যাটফর্মটি। তবে চলতি পরিস্থিতি কিছুটা জটিল ও কঠিন রূপ ধারণ করেছে। সে অর্থে, যুক্তরাষ্ট্রে প্ল্যাটফর্মটির টিকে থাকার লড়াই আরও দুরূহ হয়ে পড়ছে বলে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিকদের সব ধরনের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। ঠিক এ কারণেই বৈরী সম্পর্কের দেশের তৈরি প্ল্যাটফর্মের কারণে নিজ দেশের তথ্য বেহাত হওয়ার ঝুঁকি নিতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্র।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম ব ইটড ন স ট কটক
এছাড়াও পড়ুন:
গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।
চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।
ঢাকা/এমআর/রফিক