আওয়ামী লীগের প্রাসঙ্গিকতা ফিরিয়ে দিচ্ছে কারা?
Published: 6th, February 2025 GMT
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যে, অতি বড় সমর্থকও রাজনীতিতে দলটির শিগগিরই প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাওয়ার বিষয়ে আশা হারিয়ে ফেলেছিলেন। জনপরিসরে হিসাব শুরু হয়েছিল, ১৯৭৫ সালের বিপর্যয় কাটিয়ে পুরো ছন্দে ফিরতে দলটির অন্তত ছয় বছর লেগেছিল; পুনরায় ক্ষমতায় আসতে লেগেছিল ২১ বছর। এ দফায় দলটিকে আগেরবারের চেয়ে অনেক বেশি কাঠখড় পোড়াতে হবে।
অন্তত কয়েক মাস আগ পর্যন্ত এসব ভাবনা কোনো বাতুলতা ছিল না। শিক্ষার্থী-জনতার ওই অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগের প্রাণভোমরা বলে বিবেচিত শেখ হাসিনাই কেবল দেশ ছেড়ে চলে যাননি; দলটির প্রায় সর্বস্তরের নেতা দেশের ভেতর-বাইরে আত্মগোপন করেন। নেতাকর্মীর প্রধান প্রেরণাস্থল বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের বাসভবন, যা মুক্তিযুদ্ধের আবেগ ধারণ করে এমন মানুষের কাছে বিশেষ শ্রদ্ধার জায়গা হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়, যা ১৯৭৫ সালেও ঘটেনি। দেশের কোথাও দলীয় কার্যালয় অক্ষত নেই। অনেক নেতাকর্মীর ব্যবসায়িক কার্যালয়, এমনকি বাড়িঘরও হামলা থেকে রেহাই পায়নি। দেশের ভেতরে থাকা বহু আওয়ামী লীগ নেতা এখন কারাবন্দি; বিভিন্ন মামলায় তাদের বিচার চলছে।
সর্বোপরি, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন থামাতে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক বিভিন্ন কৌশলও ব্যর্থ হয়, যদিও অতীতে সেটা বেশ কার্যকর হয়েছিল। এতে অনেকেরই মধ্যে এ ধারণা ছড়িয়ে পড়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামী ন্যারেটিভ বা বয়ান ভেঙে পড়েছে। রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠার জন্য গ্রহণযোগ্য আদর্শের সঙ্গে রাজনৈতিক বয়ান খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলা হলো, নতুন বয়ান তৈরি করতে না পারলে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন।
কিন্তু যখন সেই গণঅভ্যুত্থানের ছয় মাস পূর্তি হচ্ছে, তখন কি আগামী ২৩ জুন প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন করতে যাওয়া দলটির ভবিষ্যৎ সত্যিই অন্ধকারাচ্ছন্ন মনে হচ্ছে? গত ছয় মাসে দৃশ্যপটে অনুপস্থিত আওয়ামী লীগই কি অনেকাংশে জাতীয় রাজনীতির গতিবিধি ঠিক করেনি? গণঅভ্যুত্থানের মুখ বলে যারা অন্তত আগস্ট-সেপ্টেম্বরজুড়ে বিপুল জনসমর্থনে ভাসলেন, সেই ছাত্রনেতারাও শুরু থেকে আজ অবধি সর্বত্র ‘ফ্যাসিবাদ’ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আর বহু প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতির বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও ৮ আগস্ট শপথ নেওয়ার পর থেকেই মূলত একই পথে হাঁটছে। যেখানে গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে টেকসই করার স্বার্থেই তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি শীর্ষে থাকার কথা ছিল, সেখানে তারা ফ্যাসিবাদ নির্মূলের নামে যেন আওয়ামী লীগের ছায়ার সঙ্গেই যুদ্ধ করছে।
লক্ষণীয়, ছাত্রনেতাদের পাশাপাশি সরকার ক্ষমতায় এসেই ১৫ আগস্টে শোক পালন ঠেকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। তারপর এলো রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ, বাহাত্তরের সংবিধানকে ‘মুজিববাদী সংবিধান’ আখ্যা দিয়ে ছুড়ে ফেলার ঘোষণা, জুলাই ঘোষণাপত্র ইত্যাদি। এই সময়ে ছাত্র, শ্রমিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী গোষ্ঠীর যৌক্তিক আন্দোলনকেও ‘ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসন’ ট্যাগ দেওয়া হলো। অস্বীকার করা যাবে, এ ধরনের প্রতিটি পদক্ষেপ আওয়ামী লীগের জন্য পরিসর তৈরি করে দেয়নি?
গণঅভ্যুত্থানের পরপর বলা হলো, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামী লীগ এতদিন ‘ব্যবসা’ করেছে এবং তা এবার ‘চিরতরে’ বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিগত শাসক দলের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ বায়বীয় তো নয়ই, জনগণের মধ্যেও এর বিশ্বাসযোগ্যতা কম ছিল না। কিন্তু কথিত ‘রিসেট’ বাটন চাপার নামে গত ছয় মাসে যা হলো তাতে আর যাই হোক, আওয়ামী লীগের ওই মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসা বন্ধ হওয়ার কোনো কারণ ছিল না। বরং উল্টো মুক্তিযুদ্ধের ওপর দলটির ‘কপিরাইট’ আরও পোক্ত হয়েছে।
এমনকি মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় প্রণীত বাহাত্তরের সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন বিষয়ে সরকার, সংস্কার কমিশন ও ছাত্রনেতাদের অবস্থান জনপরিসরে এমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে যে, বামপন্থিদের পাশাপাশি বিএনপিও এর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বাধ্য হয়। স্মরণ করা যেতে পারে, বিএনপির সর্বোচ্চ পরিষদ জাতীয় স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা মির্জা আব্বাসকেও বলতে শোনা যায়, বাহাত্তরের সংবিধান ছুড়ে ফেলার কথা শুনলে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। এমনকি ছাত্রনেতারা যখন বলতে থাকেন যে, বিএনপি নেতাদের কণ্ঠে তারা আওয়ামী লীগের সুর শুনতে পাচ্ছেন, তখনও জন্মের পর থেকেই মধ্যডানপন্থি রাজনীতির ধারক দলটি মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে তার ওই অবস্থান ধরে রেখেছে।
৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সুরক্ষা ও অধিকার প্রশ্নে সরকারের অবস্থানও প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিয়েছে। উভয় গোষ্ঠীর মধ্যেই বিগত সরকারের সময়ে উল্লেখযোগ্য বঞ্চনাবোধ ছিল। বিশেষত, বিগত ১৫ বছরে সংঘটিত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর পরিচালিত হামলাগুলোর কোনোটার বিচার না হওয়া তাদের ক্ষুব্ধ করেছিল। সাঁওতাল, গারোসহ সমতলের বিভিন্ন আদিবাসীদের ভূমি-বসতি দখলের পাশাপাশি পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় সব আদিবাসীর মধ্যেও ওই সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অসন্তোষ ছিল। সম্ভবত এ কারণেই এসব সম্প্রদায়ের সদস্যরাও গণঅভ্যুত্থানে লক্ষণীয় মাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু এখন এসব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেও গণঅভ্যুত্থানের প্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন জাগলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
আমার ধারণা, বর্তমান সরকারের প্রতি বিভিন্ন পক্ষের হতাশা ছাত্রনেতাদের মতো সরকারও ভালোভাবে টের পাচ্ছেন। এ কারণেই তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী তো বটেই, এমনকি দলটির প্রতি সামান্য সহমর্মিতা প্রকাশকারী যে কারও বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের হুমকি দিয়ে চলেছেন। বিস্ময়কর হলেও সত্য, মতপ্রকাশের অবাধ অধিকার নিশ্চিত করার আশ্বাস দানকারীদের কেউ কেউ এখন রীতিমতো সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদকর্মীদের কখন কী করতে হবে, সে ব্যাপারে নসিহত করছেন। সে নসিহত না মানলে কী পরিণতি ভোগ করতে হবে, সেটাও বলে দিচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমকে শত্রু বানিয়ে কে কবে এ দেশে জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পেরেছে?
প্রশ্ন হতে পারে, মাঠে একেবারে নেতৃত্ববিহীন আওয়ামী লীগ শিগগিরই কতটা প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে পারে? প্রশ্নটার সরাসরি উত্তর দেওয়ার সময় এখনও হয়নি। এটাও সত্য, বিগত সময়ে সরকার ও দলের নেতৃত্বে যারা ছিলেন তাদের প্রায় সবারই বিরুদ্ধে জনমনে যেমন, তেমনি আওয়ামী লীগের তৃণমূলেও ক্ষোভ ব্যাপক। বিগত সময়ে নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা ‘সুবিধাবাদীদের’ চাপে দলের মধ্যে হয় একঘরে ছিলেন, নয় দল থেকে প্রায় বিতাড়িত ছিলেন। সেই যন্ত্রণা মাত্র ছয় মাসেই সম্পূর্ণ ভুলে যাওয়া তাদের পক্ষে দুরূহ। ফলে পূর্ণ শক্তি নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে এখনই মাঠে নামা সম্ভব নয়। তবে অন্তর্বর্তী সরকার ও শিক্ষার্থীরা রাজনীতির চালে যত ভুল করবেন, ততই আওয়ামী লীগের জন্য এ দেশের রাজনীতির নিয়মেই সমর্থন জড়ো হতে থাকবে। এ সময়ে কার্যত বিরোধীদলও তো তারাই। দ্রুত নির্বাচন প্রশ্নে অভ্যুত্থানকারীরা যেভাবে বহুধাবিভক্ত হয়ে পড়ছেন, বিশেষত নির্বাচন যখন তাদের প্রধান দল বিএনপির কাছে দ্রুত নিজের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে, তাও এ ক্ষেত্রে অন্যতম বিবেচ্য বিষয়।
সাইফুর রহমান তপন: সহকারী সম্পাদক, সমকাল
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ গণঅভ য ত থ ন র র জন ত র সরক র র ন আওয় ম ছয় ম স ব এনপ আগস ট দলট র ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।
আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।
আরো পড়ুন:
মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি
তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।
দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।
৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।
কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”
তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী