কক্সবাজারে টেকনাফের পাহাড়ে কাঠ সংগ্রহের সময় পাঁচজনকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাকমাপাড়াসংলগ্ন পূর্ব পাশের পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত ব্যক্তিরা হলেন– মাঠপাড়া ও বাইন্ন্যাপাড়ার বাসিন্দা আবদুল হকের ছেলে মারুফ উল্লাহ, মো. হাসানের ছেলে মোহাম্মদ কাইফ উল্লাহ, হামিদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসা, মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ উল্লাহ ও শফিউল আজমের ছেলে মো.

আবুইয়া।

ভুক্তভোগী স্বজনের বরাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির বলেন, সকালে মাঠপাড়া ও বাইন্ন্যাপাড়া এলাকার ১৫ জন বাসিন্দা স্থানীয় পাহাড়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে যান। এক পর্যায়ে একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে। পরে তাদের মধ্যে পাঁচজনকে রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়। দুর্বৃত্তদের কবল থেকে ফিরে আসা লোকজন জানিয়েছেন, কাঠ সংগ্রহের সময় দুর্বৃত্তরা তাদের জিম্মি করে। পরে মুক্তিপণের দাবিতে পাঁচজনকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয়। তারা ছাড়া পাওয়ার পর বাড়িতে ফিরে বিষয়টি স্বজনদের জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় বলেন, এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীর স্বজন বা কারও পরিবারের কাছ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তারপরও ঘটনার ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি। তাদের উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, গত এক বছরের বেশি সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২২০ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে একই সময়ে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে ৮৭ জনকে অপহরণ করা হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অপহরণ

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরে হামলার ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার: পুলিশ

রংপুরের গঙ্গাচড়ার আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামে ধর্ম অবমাননাকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

আজ বুধবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুনরংপুরে হামলার দুই দিন পরও মামলা হয়নি, প্রশাসনের উদ্যোগে বসতবাড়ি মেরামত২২ ঘণ্টা আগে

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন একজন ভুক্তভোগী। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে যৌথ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আলদাদপুর গ্রামটি হিন্দু অধ্যুষিত। এটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের সীমানা লাগোয়া। গঙ্গাচড়া থানা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার গ্রামটির এক কিশোর ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে অবমাননাকর লেখা ও ছবি পোস্ট করেছে, এমন অভিযোগ পায় পুলিশ। পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে থানায় আনা হয়। সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করে পরদিন রোববার দুপুরে ওই কিশোরকে আদালতের মাধ্যমে সম্মিলিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুনগঙ্গাচড়ায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা মানবাধিকারের লঙ্ঘন, বিচার দাবি১৪ ঘণ্টা আগে

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কিশোরকে থানায় নেওয়ার পর তার বিচারের দাবিতে মিছিলসহ উত্তেজিত লোকজন শনিবার তার বাড়ির সামনে যায়। রাত ১০টার দিকে দ্বিতীয়বার আরেকটি মিছিল এসে কিশোরের এক স্বজনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। পরে রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন২২টির মধ্যে ১৯টি পরিবার বর্তমানে নিজেদের বাড়িতে আছে: জেলা প্রশাসক২৯ জুলাই ২০২৫

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উত্তেজিত জনতা আবারও বাড়িঘরে হামলা শুরু করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। এতে পুলিশের একজন কনস্টেবল গুরুতর আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রশাসনের হিসাবে, এ ঘটনায় ১৫টি বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

আরও পড়ুনরংপুরে হামলার শিকার পরিবারগুলো আতঙ্কে, বাড়ির মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে২৮ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাজারীবাগে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৫
  • রংপুরে হামলার ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার: পুলিশ