পাহাড়ে কাঠ কাটতে গিয়ে অপহৃত পাঁচ কাঠুরিয়া
Published: 6th, February 2025 GMT
কক্সবাজারে টেকনাফের পাহাড়ে কাঠ সংগ্রহের সময় পাঁচজনকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাকমাপাড়াসংলগ্ন পূর্ব পাশের পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত ব্যক্তিরা হলেন– মাঠপাড়া ও বাইন্ন্যাপাড়ার বাসিন্দা আবদুল হকের ছেলে মারুফ উল্লাহ, মো. হাসানের ছেলে মোহাম্মদ কাইফ উল্লাহ, হামিদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসা, মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ উল্লাহ ও শফিউল আজমের ছেলে মো.
ভুক্তভোগী স্বজনের বরাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির বলেন, সকালে মাঠপাড়া ও বাইন্ন্যাপাড়া এলাকার ১৫ জন বাসিন্দা স্থানীয় পাহাড়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে যান। এক পর্যায়ে একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে। পরে তাদের মধ্যে পাঁচজনকে রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়। দুর্বৃত্তদের কবল থেকে ফিরে আসা লোকজন জানিয়েছেন, কাঠ সংগ্রহের সময় দুর্বৃত্তরা তাদের জিম্মি করে। পরে মুক্তিপণের দাবিতে পাঁচজনকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয়। তারা ছাড়া পাওয়ার পর বাড়িতে ফিরে বিষয়টি স্বজনদের জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় বলেন, এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীর স্বজন বা কারও পরিবারের কাছ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তারপরও ঘটনার ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি। তাদের উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত এক বছরের বেশি সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২২০ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে একই সময়ে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে ৮৭ জনকে অপহরণ করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অপহরণ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।