কৃষকের জমিতে ইটভাটা, প্রতিবাদ করায় মারধর
Published: 6th, February 2025 GMT
বগুড়ার শিবগঞ্জে ইটভাটার জন্য জমি পত্তন নিয়ে দখলের পাঁয়তারার প্রতিবাদ করায় এক কৃষককে মারধর করা হয়েছে। ইটভাটা মালিক মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুল আলিম। শিবগঞ্জ থানায় এই অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, পূর্ব জাহাঙ্গীরাবাদ মৌজায় কৃষক আব্দুল আলিমের এক বিঘা জমি রয়েছে। সেখানে তিনি চাষাবাদ করে আসছিলেন। জমির পাশেই ইটভাটা গড়ে তোলায় ফসল হচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে জমিটি ইটভাটা মালিক মোসলেম উদ্দিনকে বার্ষিক ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে পত্তন দেন। মোসলেম কিছু দিন পত্তনের টাকা দেওয়ার পর আরেক ইটভাটা মালিক আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তির কাছে লিজ দেন। এ বিষয়টি জানতে পেরে আব্দুল আলিম তাঁর জমি ফিরিয়ে দিতে বলেন মান্নানকে। তিনি ওই জমি বেদখল করার চেষ্টা করছেন। গতকাল সকালে আলিম জমিতে গেলে লোকজন দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
মামলা বা হত্যার হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইটভাটা মালিক আব্দুল মান্নান। তাঁর দাবি, আব্দুল আলিমকে এক বছরের টাকা দেওয়া হয়েছে। এই জমি আব্দুর রহিম নামে আরেক কৃষকও নিজের বলে দাবি করেছেন। এক জমির দুই দাবিদার হওয়ায় পত্তনের টাকা আপাতত দেওয়া বন্ধ রেখেছি। বিরোধ নিষ্পত্তি হলে প্রকৃত মালিককে টাকা অথবা জমি বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইটভ ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’