ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সবকিছু ভুলে অভিনেতা নাগা চৈতন্যর সঙ্গে ঘর বাঁধলেও তা ভেঙে যায়। কয়েক মাস আগে নাগা চৈতন্য ফের বিয়ে করেছেন। প্রাক্তনের বিয়ের খবর থেকেই আলোচনায় সামান্থা।

কয়েক দিন আগে জিকিউ ইন্ডিয়াকে সাক্ষাৎকার দেন সামান্থা রুথ প্রভু। এ আলাপচারিতায় প্রাক্তনদের প্রতি তার অনুভূতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। জবাবে সামান্থা বলেন, “আমি আমার জীবনে এত বেশি সময় পার করেছি যে, এটা নিয়ে আর ভাবতে পারছি না।”

প্রাক্তন প্রেমিকদের নিয়ে আপনার মনে আনন্দ, তিক্ততা বা ঈর্ষার কোনো চিহ্ন আছে কিনা? জবাবে সামান্থা রুথ প্রভু বলেন, “ওহ, না। আমি যে বিষয়টি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করি তা হলো-ঈর্ষা। আমি এটিকে আমার জীবনের মূল হতে দিতে রাজি নই। আমি মনে করি, ঈর্ষা সমস্ত খারাপের মূল। অন্য সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু ঈর্ষার মতো অস্বাস্থ্যকর কোনো কিছুর স্থান আমার জীবনে নেই।”

২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পায় তেলুগু ভাষার রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার সিনেমা ‘জবরদস্ত’। এতে সামান্থার সঙ্গে জুটি বাঁধেন দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা সিদ্ধার্থ। কানাঘুষা শোনা যায়, সিনেমাটির শুটিং সেটে দুই তারকার মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়। কাজের উসিলায় পরিচয় হলেও সামান্থা-সিদ্ধার্থের সম্পর্ক ব্যক্তিগত স্তরে বাঁধা পড়ে যায়। সিদ্ধার্থের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সামান্থা। টানা দুই বছর সম্পর্কে ছিলেন তারা। কিন্তু তাদের সম্পর্ক খুব একটা মধুরভাবে শেষ হয়নি। শোনা যায়, সিদ্ধার্থের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন সামান্থা অন্য অভিনেতাদের সঙ্গে মেলামেশা করুন; যা পছন্দ হয়নি সিদ্ধার্থের। এই বিষয় নিয়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটিও হয়।

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কারো কারো দাবি, দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর সিদ্ধার্থকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন সামান্থা। কিন্তু সিদ্ধার্থ নানাভাবে তা এড়িয়ে যান। বিয়ে নিয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখাতেন না তিনি। তা ছাড়াও সামান্থা-সিদ্ধার্থের সম্পর্কে ঢুকে পড়েন কন্নড় সিনেমার অভিনেত্রী দীপা। ২০১৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তামিল সিনেমা ‘এনাকুল ওরুভান’। এই সিনেমায় সিদ্ধার্থের বিপরীতে অভিনয় করেন দীপা। সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন তারা।

২০১০ সালে ‘ইয়ে মায়া চেসাভে’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন সামান্থা রুথ প্রভু। প্রথম সিনেমায় সামান্থার নায়ক ছিলেন নাগা চৈতন্য। এই সিনেমার সেটে প্রথম আলাপ হয় দুজনের। সেখান থেকে তাদের ভালো লাগা ও বন্ধুত্ব।

সিদ্ধার্থের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার পর ২০১৪ সালে ‘অটোনগর সুরিয়া’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়ে নাগা চৈতন্য এবং সামান্থার বন্ধুত্ব আরো গভীর হয়। ২০১৫ সালে নাগাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে সামান্থা একটি মিষ্টি বার্তা লিখেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর জবাবও দেন নাগা। তারপর বিষয়টি নিয়ে দারুণ আলোচনা হয়। এরপর একাধিক অনুষ্ঠানে নাগা-সামান্থাকে একসঙ্গে দেখা যায়। প্রেমের গুঞ্জন চাউর হলেও দুই তারকাই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। ২০১৬ সালে নাগার সঙ্গে সম্পর্কে থাকার খবরে সীলমোহর দেন সামান্থা।

২০১৭ সালে বাগদান সারেন সামান্থা-নাগা চৈতন্য। একই বছরের অক্টোবরে ধুমধাম করে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু তাদের বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীর মাত্র চার দিন আগে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন এই দুই তারকা। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে সংসার জীবনের ইতি টানেন এই জুটি। সংসার ভাঙার পরিচালক রাজ নিডিমোরুর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর গুঞ্জন শোনা যায়। যদিও এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সামান্থা রুথ প্রভু। 

ঢাকা/শান্ত/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জ বন

এছাড়াও পড়ুন:

বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি

বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচ নেওয়ার সময় কিংবা ছক্কা ঠেকাতে গিয়ে অনেক সময় শরীরের ভারসাম্য থাকে না। ফিল্ডাররা তাই বাধ্য হয়েই একটি কৌশল অবলম্বন করেন।

বলটি ওপরে ছুড়ে দিয়ে সীমানা পেরিয়ে যান। বাউন্ডারি সীমানার বাইরে থাকতেই লাফ দিয়ে বলটি হাতের ধাক্কায় আবারও ওপরে ছুড়ে দিয়ে সীমানার ভেতরে ফেরত পাঠান এবং তারপর ক্যাচটি নেন কিংবা ছক্কা বাঁচান। এই কাজ করতে গিয়ে কেউ কেউ বাউন্ডারি সীমানার বাইরে একাধিকবার শূন্যে লাফিয়েও বল হাত দিয়ে স্পর্শ করেন।

ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) নতুন নিয়ম অনুযায়ী এভাবে ক্যাচ নেওয়া কিংবা ছক্কা বাঁচানো আর বৈধ থাকছে না।

আরও পড়ুনস্বপ্ন পূরণ হতে ৬৯ রান দরকার, এবার কি পারবে ‘চিরকালের চোকার’ দক্ষিণ আফ্রিকা১০ ঘণ্টা আগে

ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষ দিকে নতুন এ নিয়ম কার্যকরের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে। আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে নিয়মটি সংযুক্ত হবে চলতি মাসেই। এরপর এমসিসির বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত হবে আগামী বছরের অক্টোবরে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একজন ফিল্ডার বাউন্ডারি সীমানার বাইরে লাফিয়ে শুধু একবারই বল স্পর্শ করতে পারবেন। এরপর সীমানার ভেতরে ঢুকে তাঁকে ক্যাচ নিতে হবে। ২০২৩ সালে বিগ ব্যাশে সিডনি সিক্সার্সের জর্ডান সিল্কের ক্যাচ বাউন্ডারি সীমানার বাইরে (লাফিয়ে) দ্বিতীয়বার স্পর্শ করে সীমানার ভেতরে ফেরত পাঠান ব্রিসবেন হিটের মাইকেল নেসের। শূন্যে লাফিয়ে বলটি দ্বিতীয়বার স্পর্শ করে তিনি সীমানার বাইরেই পা রাখেন এবং দৌড়ে ভেতরে ঢুকে ক্যাচটি নেন। এমসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী এমন ক্যাচ আর আইনসিদ্ধ হবে না।

নেসের সেই ক্যাচ নেওয়ার পর ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, ২০২০ বিগ ব্যাশে ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ অনেকটা এভাবেই নিয়েছিলেন ম্যাট রেনশ—যেখান থেকে তিনি ওভাবে ক্যাচটি নেওয়ার প্রেরণা পান। সে সময় দুটি ক্যাচের বৈধতা নিয়েই বিতর্ক হয়েছিল। তখন অনেকেই বলেছিলেন, বাউন্ডারি সীমানার ক্যাচের নিয়ম পাল্টানো হোক, যেটা সর্বশেষ হালনাগাদ করা হয়েছে ২০১০ সালে।

আরও পড়ুনম্যাক্সওয়েল, ক্লাসেন, পুরান—জাতীয় দল ছাড়তেই ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের অধিনায়ক১২ ঘণ্টা আগে

চলতি বছরের শুরুতে ক্যাচ নেওয়ার প্রশ্নবিদ্ধ এই নিয়ম পুনরায় যাচাইয়ের জন্য এমসিসি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিল আইসিসির ক্রিকেট কমিটি। এরপর দুই পক্ষই এ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে এবার সেটি হালনাগাদ করল। এ বিষয়ে এমসিসির সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা প্রতিটি সদস্যদেশের বোর্ডের কাছে পাঠিয়েছে আইসিসি। সেখানে বলা হয়েছে, বর্তমান নিয়মের অধীন ‘অসাধারণ’ ফিল্ডিং দেখা গেলেও সেটা ‘অস্বাভাবিক কিছু ক্যাচেরও জন্ম দিয়েছে, যা সিংহভাগ ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টদের চোখে অবৈধ’।

নেসেরের ক্যাচের উদাহরণ টেনে এমসিসি বলেছে, ব্রিসবেন হিটের এই ফিল্ডার সীমানার ‘ভেতরে’ ক্যাচটি নেওয়া সম্পন্ন করার আগে ‘বানি হপড’ (ছোট্ট লাফ) করেছেন। ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘এমসিসি নতুন আইন করেছে, যেখানে সীমানার বাইরে “বানি হপড” পুরোপুরি নির্মূল করা হয়েছে। তবে এসব ক্যাচে ফিল্ডার সীমানার ভেতরে থেকে বল শূন্যে ছুড়ে দিয়ে বাইরে পা রাখার পর ক্যাচটি ধরতে ডাইভ দিয়ে ফিরতে পারবেন। আমাদের সমাধান হলো, সীমানার বাইরে চলে যাওয়া ফিল্ডারকে শূন্যে থাকতে একবারই বল স্পর্শ করতে দেওয়ার সীমারেখা বেঁধে দেওয়া এবং তারপর ডেলিভারিটির বাকি সময় সম্পন্ন করতে সীমানার ভেতরে থাকতে হবে।’

রিলে অর্থাৎ একাধিক ফিল্ডার মিলে ক্যাচের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হবে। বাউন্ডারি সীমানার বাইরে বল স্পর্শ করা ফিল্ডারকে সীমানার ভেতরে ফিরতে হবে তাঁর সতীর্থ ক্যাচ নিলেও।

১৭ জুন শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার গল টেস্ট দিয়ে শুরু হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র। এই ম্যাচের সঙ্গে আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনও হালনাগাদ করা হবে। নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে আগামী বছরের অক্টোবর থেকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স‌চিবাল‌য়ে কর্মচারী‌দের বি‌ক্ষোভ, চল‌বে মঙ্গলবারও 
  • পুরনো স্বাদের ঝুরা মাংসের
  • ভাত খাওয়ার সময় কেন ভাতটাই পরে খেতে বলেন চিকিৎসকেরা?
  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের আমানতকারীরা টাকা ফেরত চান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি